ঢাকা, রবিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশের সমর্থন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫৪, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশের সমর্থন

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ শুক্রবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধানে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবে ইসরায়েলকে একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকার করার আহ্বান জানানো হয়।

 

তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বাংলাদেশসহ ১৪২টি দেশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে।


১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ নামে একটি প্রস্তাব ১৪২টি ভোটে পাস হয়। মাত্র ১০টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দেয় এবং ১২টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে উত্থাপিত হয়। এর আগে জুলাই মাসে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে এ ঘোষণা প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তিপূর্ণ সমাধানকে এগিয়ে নেওয়া।

ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে নতুন বসতি সম্প্রসারণ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বলেন, এই জায়গাটি আমাদের এবং ঘোষণা দেন, কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো গঠিত হবে না।

গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং বৃহত্তর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে (২২ সেপ্টেম্বর শুরু) গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদল আশাবাদী, আরো অন্তত ১০টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে।  

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর এ ভোটকে ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের শান্তির প্রতি সমর্থনের প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ইসরায়েলের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এখনো যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেতে চায়, তাদের উচিত বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তির আহ্বানে কান দেওয়া। ’

ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন প্রস্তাবটিকে ‘একটি নাটক’ বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, এই প্রস্তাব হামাসের পক্ষে কাজ করে ও জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও প্রস্তাবটির সমালোচনা করেছে। মার্কিন প্রতিনিধি মর্গান ওর্তাগুস একে ভুল পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি হামাসের জন্য একটি প্রচারণামূলক উপহার, যা প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ঘোষণায় যুদ্ধবিরতির পর একটি রূপান্তরকালীন কমিটির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজাসহ সমস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে হামাসকে গাজা ছাড়তে ও নিরস্ত্র হতে বলা হয়। ঘোষণায় একটি অস্থায়ী, জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক মিশনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা সহায়তা এবং ভবিষ্যৎ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল, ইউএমবি

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।