ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইরানের সঙ্গে ‘অবশ্যই’ যুদ্ধে যাবো, তবে এখনই নয়: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
ইরানের সঙ্গে ‘অবশ্যই’ যুদ্ধে যাবো, তবে এখনই নয়: ট্রাম্প

ঢাকা: ওমান উপসাগরে তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান- দেশ দু’টির মধ্যে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। এ ঘটনায় ইরানকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করছে ইরান।

দু’দেশের মধ্যকার চলমান এ উত্তেজনায় কোনো ধরনের উস্কানি পেলে মুহূর্তেই যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে ধারণা করছে অনেকেই। এমন সময়ে এসে যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কোন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে যাবে– ট্রাম্পকে এমন প্রশ্ন করে টাইম ম্যাগাজিন। উত্তরে পারমাণবিক অস্ত্রের ইস্যুতেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে যাবে বলে জানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ট্রাম্প জানায়, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র না পায়, সে লক্ষ্যে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখনই এ যুদ্ধ বাঁধবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমি তা বলবো না। আমি তো সবকিছু বলে দিতে পারিনা।

এর আগে সোমবার (১৭ জুন) চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই এমন মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ হলেও সেটি কি ধরনের হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে এখনই যুদ্ধ বাঁধবে না- ট্রাম্পের কথায় এমনটাই বোঝা গেছে বলে জানায় টাইম ম্যাগজিন।  

অন্যদিকে ইরান বলছে ভিন্ন কথা। বুধবার (১৯ জুন) ইরানের সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলি সামখানি বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ধরনের সামরিক যুদ্ধ হবে না।

১৩ জুন উপসাগরে দু’টি তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এর পেছনে ইরানই রয়েছে বলেই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।  

এ ঘটনায় সৌদি আরবও অভিযোগের আঙুল তুলেছে ইরানের দিকেই। এতে বোঝা যায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই হাঁটছে সৌদি আরব।

এর আগে ১২ মে ওমান উপসাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফুজাইরাহ বন্দর উপকূলেও চারটি তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার পেছনেও ইরান রয়েছে বলেই দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে সময় কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সে সময়ও যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।