ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

হামলায় কোনো হতাহত হয়নি: পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
হামলায় কোনো হতাহত হয়নি: পাকিস্তান পাকিস্তান সীমান্তে বোমা হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩০০জনের মতো নিহতের দাবি করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের বালাকোট পুলিশ প্রধান বলেছেন, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  

হামলার পর মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই দেশের পক্ষ থেকে এই পাল্টা দাবি করা হয়।

 

হামলার পর দিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভি কে গোখালে বলেন, এই হামলায় বহু সংখ্যক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে হামলায় সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তবে পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে চালানো হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।  

বার্তা সংস্থা এপি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বালাকোট শহরের পুলিশ প্রধান সাগির হুসাইন শাহ বলেন, হামলাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন-ওই জায়গাটি গাছপালায় ঢাকা। সেখানে বোমা নিক্ষেপ করলেও কোনো ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি আরও দাবি করেন, এ ব্যাপারে প্রতি মুহূর্তেই পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্বিক তথ্য অবহিত করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সাগির শাহ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ১২টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিরেজ ২০০০ দিয়ে বালাকোটের ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রায় একহাজার কেজি বোমা নিক্ষেপ করে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হন।  

ঘটনার পরপরই এই হামলায় দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ। যদিও দায় স্বীকারের আগে থেকেই এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে ভারত। তবে সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।  

আর এ পরই ‘চিরশত্রু’ দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। দিল্লি-ইসলামাবাদের উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়। পাশাপাশি এ উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করতেও আগ্রহ দেখায়।  

এর মাঝেই পাকিস্তান সীমান্তে জইশ ই মুহম্মদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয়ার কথা জানালো ভারতের বিমান বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসএ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।