ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

পরিবারসহ পূর্ব ঘৌতার হারাসতা শহর ছাড়ছে বিদ্রোহীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
পরিবারসহ পূর্ব ঘৌতার হারাসতা শহর ছাড়ছে বিদ্রোহীরা বিদ্রোহী ও তাদের পরিবার পরিজনদের বহনের জন্য অপেক্ষমান বাস। ছবি-সংগৃহীত

অবশেষে সিরিয়ার অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌতা ছিটমহল ছেড়ে যেতে শুরু করেছে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা। আসাদ সরকারের সঙ্গে করা এক সমঝোতা চুক্তির আওতায় বিদ্রোহীরা অস্ত্র ছেড়ে নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে বাসে চেপে পূর্ব ঘৌতার হারাসতা শহর ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে বৃহস্পতিবার।

একমাস আগে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও রুশ বিমানবাহিনী টানা ৭ বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিটমহলটিতে জঙ্গিবিমান থেকে বিরামহীন বোমা ও রকেট হামলা শুরু করার পর সেখান থেকে বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয়ে এটাই প্রথম সমঝোতা চুক্তি।    

রুশ বিমান বাহিনী, সিরিয়ার সেনা ও বিমান বাহিনী, সরকারপন্থি মিলিশিয়া, হিজবুল্লঅর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে কোণঠাসা হয়ে বিদ্রোহীরা সেখানকার প্রায় ৭০ ভাগ এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

প্রতিরোধের শক্তি কমেই ফুরিয়ে আসছে বিদ্রোহীদের। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের একটা অংশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রাণে বাঁচতে চাইছে।  

সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবরের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, প্রাথমিকভাবে ২৭ জন বিদ্রোহী ও ১৮২ জন বেসামরিক লোক হারাসতা শহর ছেড়ে বাসে চেপে রাজধানী দামেস্কের সীমানায় প্রবেশ করেছে।

সমঝোতা চুক্তির আওতায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশ থেকে ১৫০০ সরকারবিরোধী বিদ্রোহী ও ৬০০০ বেসামরিক নাগরিককে সিরিয়ার মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনা হবে।

একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার মতে, একমাসে রুশ-সিরীয় যৌথ হামলায় পূর্ব ঘৌতা ছিটমহলে ১৫০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস এক ভাষণে পূর্ব ঘৌতা নামের অবরুদ্ধ ছিটমহলটিকে ‘দুনিয়ার বুকে জাহান্নাম’ বলে অভিহিত করেন।   ৪ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ছিটমহলটিতে খাদ্য, ওষুধ বলতে কিছু নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।