গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় হামলা চালিয়ে ৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা তাদের সৈন্যদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু ফিলিস্তিনি সূত্র বলছে, ওই এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল ছিল। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে গোলাবর্ষণ চালানো হয়। খবর আল জাজিরার
এদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। স্থানীয় চিকিৎসা সেবাদান প্রতিষ্ঠান নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, যারা আহত হয়েছেন তাদের অবস্থা গুরুতর।
এর পাশাপাশি, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার পূর্বদিকে তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা খবরে বলা হয়েছে, এই সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনী ও ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রামাল্লাহ, এল-বিরেহ ও হেবরনসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে রাতভর অভিযান চালানো হয়।
রামাল্লাহর আইন মুনজিদ পাড়ায় নির্বাসিত সাবেক বন্দি ইসাম আল-ফরুখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তছনছ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। পশ্চিম রামাল্লাহর দেইর ইবজি গ্রামে অন্তত সাতটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাসিন্দাদের মাঠে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া আইন আরিক ও নিলিন শহরেও অভিযান চলে।
মঙ্গলবার ভোরে রামাল্লাহর পূর্বদিকে বেইতিন শহরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হেবরনের পশ্চিমে ইধনা ও আল-কৌম শহরে অভিযান চালিয়ে দুটি বাড়ি দখল করে সামরিক ব্যারাকে রূপান্তর করেছে সেনারা।
এর আগে তূলকারেম ও দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-ইসসাওয়িয়ায় অভিযান চালিয়ে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী, যাতে অন্তত দুজন আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়।
ইসরায়েলি বাহিন এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তখন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েল ভ্রমণও করেছেন।