ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গঠিত নতুন ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ নিতে গিয়ে গাজায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
তিন মাসের অবরোধ, লাগাতার বিমান হামলা এবং খাদ্য সংকটের কারণে গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ এখন চরম দুর্ভিক্ষের মুখে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশু আর পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করতে গিয়ে বহু মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন।
এক প্যালেস্টাইনি বাবা আল জাজিরাকে বলেন, আমরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছি। বাচ্চারা খেতে চাইছে। তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে আমি কিছু করতে প্রস্তুত।
গাজা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার প্রলোভনে এনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা সরাসরি জনতার ওপর গুলি চালায়নি, বরং ভিড়ের বাইরের এলাকায় সতর্কতামূলক ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। তাদের দাবি, পরিস্থিতি পরে নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
তবে জাতিসংঘসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা জিএইচএফ-এর নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলছে, এই সংস্থার অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন নয় এবং এর মাধ্যমে মানুষকে আরও স্থানচ্যুত হওয়ার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজায় বর্তমানে ৯৩ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা কেবল গাজার মানবিক বিপর্যয়কেই নগ্নভাবে উন্মোচন করছে, বরং প্রশ্ন তুলছে—এই ত্রাণ কার্যক্রম আসলেই সাহায্য করছে, নাকি আরও বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
এমএম