ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার ইসরায়েল যাচ্ছেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার ইসরায়েল যাচ্ছেন বাইডেন ফাইল ছবি

ইসরায়েল ও হামসের চলাকালীন যুদ্ধের মধ্যেই দেশটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) তিনি ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে এ ঘোষণা দেন ব্লিনকেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে সাড়ে ৭ ঘণ্টার বৈঠকের পর এমন ঘোষণা দেন তিনি। খবর সিএনএন ও এনবিসি নিউজের।

এটি হবে যুদ্ধ চলাকালীন দেশে বাইডেনের দ্বিতীয় সফর। এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি গোপনে ইউক্রেন সফর করেছিলেন।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত চারদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই যুদ্ধের পরে মধ্যপ্রাচ্যের  জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিশর সফর করেন তিনি। পরে সোমবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েলে বৈঠক শেষে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরির জন্য বাইডেনের সফরের বিষয়টি সামনে আসে।

এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্লিনকেন বলেছেন, ইসরায়েলে সংহতি এবং সেখানে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই বাইডেন এই সফর করছেন। এছাড়া ইসরায়েলিদের নিরাপত্তার জন্য কী প্রয়োজন সেটি সরাসরি শোনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

ইসরায়েল সফর শেষে বাইডেন জর্ডানের আম্মানে যাবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। সেখানে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন।

উল্লেখ্য, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক সাম্প্রতিক সময়ে এই তিন নেতার সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করেছেন। তাদের সবাই গাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিন্দা করে আসছেন।

কিরবি বলেন, সফরে বাইডেন এটা পরিষ্কার করে দেবেন যে আমরা মানবিক সহায়তা দিতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের বের করার জন্য ইসরায়েলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

সংক্ষিপ্ত হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফরের সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি।

এদিকে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার ৮০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৯ জন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী ও শিশু। এর মধ্যে ৩৭ চিকিৎসা কর্মী, চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস রয়েছেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে  এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। '

ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর হয়েছেন এক হাজার দুইশরও বেশি।

ইসরায়েল এখন গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ইসরায়েল গাজা সিটিসহ উত্তর দিকের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭ ,২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।