ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি নিকি হ্যালির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি নিকি হ্যালির

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, চীন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে তিনি বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিশাল হুমকি’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীন সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে হ্যালি। তিনি বলেন, বেইজিং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ যুদ্ধে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা জয়ী হতে চান। স্বভাবতই দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশাল হুমকি।

শুক্রবার নিউ হ্যামশায়ার অঙ্গরাজ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। হ্যালি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করতে ৫০ বছর পার করে দিয়েছে চীন। সামরিক শক্তি বিবেচনার দিক থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী এখন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর সম পর্যায়ে।

জাতি হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার শক্তি আমাদের শক্তি ও গর্ব। কমিউনিস্ট চীনের হুমকির মুখে এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রিপাবলিকান পার্টির এ প্রেসিডেন্ট পদপার্থী অভিযোগ করে বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের গোপনীয় বিষয়গুলো জেনে গেছে। আমাদের নির্মাণক্ষেত্রের কর্মসংস্থান দখল করে নিয়েছে। ওষুধ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি; গুরুত্বপূর্ণ শিল্প সবগুলোতেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করেই অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এশিয়া ও এশিয়ার বাইরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করছে দেশটি।

ভারতীয় এ বংশোদ্ভূত বলেন, সব ক্ষেত্রেই প্রথম হতে চায় চীন। এ দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের মনোভাবও এ ব্যাপারে পরিষ্কার। বেইজিংয়ের বিশাল সামরিক বাহিনী কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সরাসরি হুমকি। কমিউনিস্ট পার্টি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর চীনের নেতারা জয়ী হতে চায়।

এদিকে তাইওয়ানের আকাশ ও জলসীমায় চীনা সামরিক কার্যকলাপ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা দেশটির সীমায় কয়েক ডজন চীনা ফাইটার জেট এবং বোমারু বিমান শনাক্তও করেছে।

অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছেন, সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে স্থল, সমুদ্র, বায়ু এবং উভচর মহড়ায় নিযুক্ত রয়েছে চীনা বাহিনী। এই পরিস্থিতি বেশ অস্বাভাবিক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ১০টি চীনা সামরিক বিমান ও পাঁচটি নৌ-বাহিনীর জাহাজ তাইওয়ানের আশপাশে শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত দুটি বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চিউ বলেন, বিমান, জাহাজ এবং অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বৃদ্ধি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত উভয় পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা মনে করি বেইজিংয়ের পদক্ষেপ ‘হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে’ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখে এবং অঞ্চলটি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে পুনরায় একত্রিত হওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে বলে তাদের দাবি। এদিকে আবার তাইওয়ানের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র পাশে রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে চীনের সঙ্গে দেশটির বরফ জমতে জমতে পাথরে রূপ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।