ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য রেসপনসিবল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান।
শনিবার (১৭ মে) বিএনএনআরসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেসপনসিবল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চিফ রেসপনসিবল অফিসার এবং গ্লোবাল কাউন্সিল ফর রেসপনসিবল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা কারমেন মার্শ আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমানকে বাংলাদেশের জন্য রেসপনসিবল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই সম্মানজনক দায়িত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নৈতিক অনুশীলনকে উৎসাহিত করার প্রতি একটি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে এবং এ অঞ্চলে দায়িত্বশীল এআই উদ্যোগগুলোর অগ্রগতিতে সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
বাংলাদেশে রেসপনসিবল এআই অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তার নেতৃত্ব ও নৈতিক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে প্রতিশ্রুতি একটি গ্লোবাল আন্দোলন গড়ে তুলতে অমূল্য ভূমিকা রাখবে। একজন গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ততা বাড়াবেন এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগে অবদান রাখবেন, যার লক্ষ্য দায়িত্বশীল এআই উন্নয়ন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে। এই শক্তিশালী প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সমগ্র জনগণের মূল্যবোধ ও প্রয়োজনকে প্রতিফলিত করে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ এআইভিত্তিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের অঙ্গীকার থাকা দরকার। দায়িত্বশীল এআই উন্নয়ন মানে কেবল প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা নয়, বরং নৈতিক বিবেচনা ও সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাও।
বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিল্পখাত ও জ্ঞানের শাখার মধ্যে সহযোগিতা উৎসাহিত করে, আমরা এমন এআই সিস্টেম তৈরি করতে পারি, যা মানব সম্ভাবনাকে প্রসারিত করবে, গোপনীয়তা রক্ষা করবে এবং ন্যায়বিচারকে উন্নীত করবে।
আমরা একসঙ্গে এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে পারি যেখানে এআই হবে একটি ইতিবাচক শক্তি—নবপ্রবর্তনের হাতিয়ার, যা একইসঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলকতা ও দায়িত্বশীলতার নীতিগুলোকে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে।
গ্লোবাল কাউন্সিল ফর রেসপনসিবল এআই (জিসিআরএআই) দায়িত্বশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনের জন্য সমানভাবে নিবেদিত। কাউন্সিলের লক্ষ্য হলো এমন একটি বৈশ্বিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করা, যা মানবিক মূল্যবোধকে সম্মান করে এবং সামর্থ্য বাড়ায়।
এই উদ্যোগগুলো কাউন্সিলকে নৈতিক এআইয়ের অগ্রভাগে নিয়ে এসেছে, যা আজকের অনুশীলনকে প্রভাবিত করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ, নৈতিক ও উপকারী উদ্ভাবনের পথ প্রশস্ত করছে।
কাউন্সিল বিশ্বব্যাপী নৈতিক ও নিরাপদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে সহায়ক ও দিকনির্দেশক ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের লক্ষ্য হলো সমাজকল্যাণকে উন্নীত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ, বিস্তৃত মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা। কাউন্সিল এমন একটি বিশ্বব্যাপী কর্তৃপক্ষ হয়ে উঠতে চায়, যারা নৈতিক এআই উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে, যেখানে নিরাপত্তা, নৈতিকতা এবং সমাজের বৃহত্তর মঙ্গলই হবে মূল লক্ষ্য।
আরকেআর/আরবি