ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

রমজানে কলকাতায় বেড়েছে ফলের দাম 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৮
রমজানে কলকাতায় বেড়েছে ফলের দাম  কলকাতার ফল বাজার-ছবি-বাংলানিউজ

কলকাতা: রমজানে কলকাতার ফল বাজারে যেন আগুন লেগেছে। বাজারে ফলের দাম বেড়েছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। মধ্যবিত্ত রোজাদারদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে। 

প্রতিবারই রমজানের শুরু থেকেই কলকাতায় ফলের বাজারে দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।  ঈদ যত এগিয়ে আসে ফলের দামও বাড়তে থাকে।

এবারের রমজানে  কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি ফলের যোগান যথেষ্ট থাকলেও দাম অন্য সময়ের থেকে অনেকটাই বেশি।
 
এর কারণ হিসেবে ফল বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে ফলের চাহিদা অনেক। চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই।  

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এই সময় ফলের যোগান অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। উৎসব বুঝে ব্যবসায়ীরা বাজার চড়া করে রেখেছে।  
 
কলকাতার বাজারে দেশি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৭০ ও বিদেশি ৪শ’ ৫০ রুপি কিলোতে। ভিন রাজ্যের আঁশফল বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ রুপিতে।  দেশি আঁশফল বাজারে নেই। তূলনামুলক দাম কম আমের। বাজারে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোলাপখাস ইত্যাদি আম বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি ৩৫ থেকে ১শ’ রুপির মধ্যে। মালটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১শ’র মধ্যে। পাকা পেঁপে রোজার আগে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে,  বর্তমানে তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১শ’ থেকে ১২০ রুপি কিলো প্রতি।
 
শুধু রসালো ফল নয় দাম বেড়েছে শুকনো ফলেরও। কাজু বাদাম ৯শ’ থেকে ১হাজারের মধ্যে। আমন্ড নাট ৮শ’ থেকে ৮শ’ ৫০, কিসমিস ৪শ’ থেকে ৫শ’, আখরোট ১২শ’, সল্টেড পেস্তা ১২শ’ এবং লবণ ছাড়া ১৬শ’ কিলো প্রতি বিক্রি হচ্ছে।  
 
কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় ড্রাই ফ্রুট কিনতে এসেছেন বাংলাদেশি জামির হোসেন। তিনি বলেন, দাম অনেকটা বেড়েছে মশলাসহ কাজু কিসমিসের। অপরদিকে বিক্রেতাদের কথায় জিএসটির কারনে দাম বেড়েছে। তবে বিক্রেতারা যাই বোঝাক কেন বিদেশিদের জিএসটির কারণে এতোটা দাম বাড়তে পারে না শুকনো ফলের-এমনটাই মনে করেন কলকাতার রোজাদাররা।  
 
বাজারে এসে দেখা গেলো, দেশি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে  কিলো  ৫শ’ রুপি আর ভিনদেশি ৪শ’ গ্রামের দাম ৩শ’ রুপি। শুনে আঁতকে উঠেন কলকাতার এক প্রবীন নাগরিক সৌম্যদীপ বাবু। তিনি বলেন, বছর বিশ আগেও কালোজাম কিনে খাবার কথা ভাবাই যেত না। পাড়ার গাছের নিচে পড়ে থাকতো অজস্র। একেই বলে নগরায়নের দাপট। জাম, জামরুল, আঁশফল গাছগুলি আর কিছুদিন বাদে মিউজিয়ামে ঠাঁই পাবে।  
 
ঈদের আগে মসলার চাহিদাও প্রচুর বাড়ে। সবুজ এলাচ হাজার থেকে ১৪শ’র মধ্যে, সেখানে কালো এলাচ ৯শ’ রুপি কিলো। দারুচিনি ৪শ’ থেকে ৫শ’র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এছাড়া অন্য মসলার দামও বেড়েছে অনেকটা। শুধু মসলা নয়, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাল এবং সবজির দাম। তাই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার মুহূর্তে চাপ পড়ছে সাধারণ জনগণের পকেটে। যদিও এই কারণে থেমে নেই উৎসবের আমেজ। তাই অর্থনীতির তত্ত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রায় দামের সমানুপাতিক হারে বাজারে দেশি-বিদেশিদের ভিড় বাড়ছে প্রতিটি মুহূর্তে। আর সেই ভরসাতেই আখের গোছাচ্ছে বিক্রেতারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ৯ জুন, ২০১৮
ভিএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।