ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

এভারেস্ট দিবসে হতাশ পর্বতারোহীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এভারেস্ট দিবসে হতাশ পর্বতারোহীরা এভারেস্টে পর্বতারোহীরা (ফাইল ছবি)

কলকাতা: প্রথম এভারেস্ট জয়ী তেনজিং নোরগের জন্মদিন ২৯ মে। আবার এ দিনেই বিশ্বে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারি। দিনটিকে ‘এভারেস্ট দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু এ দিনেও হতাশ পশ্চিমবঙ্গের পর্বত অভিযাত্রীরা। 

কারণ হিসেবে পর্বতোরোহীরা জান‍ান, অভিযানের খরচ বৃদ্ধি, অভিযান করে আসার পর ঋণগ্রস্ত হওয়া এবং চাকরি না পাওয়া।

যেভাবে দিনের পর দিন পর্বতারোহণের খরচ বাড়ছে তাতে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন অভিযাত্রীরা।

এভারেস্টে উঠতে গেলে বর্তমানে কমপক্ষে ২২ লাখ রুপির দরকার। জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকু দিয়ে এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বহু পর্বতারোহী। পাহাড়ের টানে ফের অভিযানের ইচ্ছে থাকলেও পকেটের টানে তা দমিয়ে রাখতে হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৭ জন পর্বতারোহী এভারেস্টে সফল অভিযান করেছেন। এর মধ্যে প্রথম বাঙালি এভারেস্ট জয়ী বসন্ত রায় ও অপর এভারেস্ট জয়ী দেবাশিস বিশ্বাস, রমেশ রায় ছাড়া কেউই সরকারি চাকরি করেন না। বাকিরা কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, কেউবা বেকার।

পশ্চিমবঙ্গের এক এভারেস্ট জয়ী মলয় মুখোপাধ্যায়। এভারেস্টে সফল অভিযান করে এসে বর্তমানে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ম্যাসাজ করেন।

অনেক অভিযাত্রী ঋণের জড়িয়ে আছেন। ঋণ শোধ করে পরের অভিযানে যাওয়ার কথা তারা ভাবতেই পারছেন না। তাদের অভিযোগ স্পন্সর পাওয়া যায় না। কারণ হিসেবে অভিযাত্রীরা পর্বতারোহণ সেভাবে প্রচার না পাওয়াকে দায়ী করেছেন।  

অনেক অভিযাত্রী মনে করেন, নেপাল সরকার কিছুটা আর্থিক বোঝা কমালে অভিযাত্রীদের সুবিধা হয়। বাড়তে থাকা রয়্যালটির জন্য আগামী দিনে মধ্যবিত্ত, সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা পবর্তারোহীদের অভিযানের চেষ্টা বন্ধ হতে পারে। তাদের আশা বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ২৯ মে, ২০১৭
ভিএস/আরআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।