মাদ্রিদ: স্পেনের লা লিগায় অঘটনের শিকার হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তালিকার ১৭তম দল লাভান্তের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে জায়ন্টরা।
লাভান্তের ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে রিয়াল মাদ্রিদ। মেসুত ওজিল, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা বেশ কয়েকবার হানাও দেয় স্বাগতিক রক্ষণভাগে। অবশ্য গোলের দেখা পায়নি সফরকারীরা। ফলে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় স্পেশাল ওয়ানের দল।
বিরতির পর গোল দিতে মরিয়া হয়ে উঠে দু’পক্ষই। চলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু গোল নামক সোনার হরিণের দেখা মেলেনি। সুযোগ পেয়েছিলেন পর্তুগালের স্ট্রাইকার রোনালদো, হেডও নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতিক গোলরক্ষক ম্যানুয়েল রেইনার বিশ্বস্ত দুটি হাত সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রিয়ালকে।
পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় আর দুটিতে ড্র করায় চাপের মধ্যে পড়লেন মরিনহো। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা অ্যাথলেটিকো বিলবাওকে হারিয়ে উঠে গেছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। আর মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থান তৃতীয়। তাই চাপ তো বোধ করবেনই ৪৭ বছর বয়সী মাদ্রিদ কোচ।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় পেলেও খেলার ৮৭ মিনিটে ডেভিড ভিয়া লাল কার্ড দেখায় পেপ গার্দিওলার চোখে-মুখেও চিন্তার ভাজ। দলের প্রাণভ্রমরা লিওনেল মেসিও চোট পেয়ে দলের বাইরে। সেই যাই হোক জয় তো এসেছে চ্যাম্পিয়ন বার্সার।
মেসির অনুপস্থিতি হারে হারে উপলব্ধি করেছে কাতালানরা। স্বাগতিক বিলবাওয়ের মাঠে প্রথামার্ধে গোল করতে পারেনি কোন পক্ষই। ৩৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে আমোরেবিয়েতা মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় বিলবাও। প্রথমার্ধে কোন মতে আটকে রাখতে পারলেও বিরতির পর ১০ জনের দল নিয়ে আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিক বিলবাও।
৫৫ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে নেন কেইতা। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জাবি। খেলার অন্তিম মুহূর্তে প্রতিপক্ষের জালে শেষবার বল পাঠান বুস্কেটস। বিলবাওয়ের হয়ে একটি গোল শোধ করেন গ্যাবিলন্দো (৯০ মিনিট)।
পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ভ্যালেন্সিয়া। সমান খেলায় বার্সার ১২ আর রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ১১।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০