আকাশে মেঘ ছিল, তবে বৃষ্টি বা বজ্রপাতের শঙ্কা ছিল না। অথচ বিদ্যুচ্চমক দেখা গেল কোর্টে; কার্লোস আলকারাসের র্যাকেট থেকে।
এই জয়ে মধুর প্রতিশোধও নিলেন আলকারাস। কয়েক মাস আগেই উইম্বলডনের ফাইনালে একই প্রতিপক্ষ সিনারের কাছে হেরেছিলেন তিনি। এবার শুধু শিরোপাই নয়, ফিরিয়ে নিলেন র্যাংকিংয়ের এক নম্বর আসনও।
ফাইনালের শুরুতেই গ্যালারিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার উপস্থিতিতে নিরাপত্তা ছিল কড়াকড়ি, দর্শকদের অনেককেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। খেলা খানিক দেরিতে শুরু হলেও কোর্টে গতি আনেন আলকারাস। প্রথম সার্ভ করেও প্রথম গেম হারেন সিনার, প্রথম সেট সহজেই জিতে নেন স্প্যানিশ তারকা। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ালেও এরপর আর কোনো সুযোগ পাননি ইতালিয়ান খেলোয়াড়।
জয়ের পর খেয়ালি উদযাপনে মাতেন আলকারাস। র্যাকেট হাতে গলফ সুইংয়ের ভঙ্গি করে আনন্দ ছড়িয়ে দেন দর্শকদের মাঝে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী সিনারের প্রশংসা করতে ভোলেননি, কোচিং স্টাফদের প্রতিও জানান কৃতজ্ঞতা। তার ভাষায়, ‘২০২২ সালের শিরোপা ছিল তারুণ্যের ঝলক, এবারের জয়টা এসেছে পরিণত মানসিকতা থেকে। ’
এ জয়ে তার গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা হলো ছয়টি। ইউএস ওপেন, ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনে দুটি করে। এখনো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সাফল্য পাননি, তবে সেখানে জয়ের লক্ষ্যও স্পষ্ট, ‘আমার লক্ষ্য ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম পূর্ণ করা। আগামী বছরই চেষ্টা করব, না হলে যত বছর লাগুক, অবশ্যই করব। ’
অন্যদিকে ফাইনালে হারের হতাশা ঢাকতে পারেননি সিনার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেছি, কিন্তু এর বাইরে আর কিছু করার ছিল না। ’
টানা ১৩ ম্যাচ জয় ও এ মৌসুমের সপ্তম শিরোপা হাতে নিয়ে এগোচ্ছেন আলকারাস। ইউএস ওপেনের এই সাফল্য আরও একবার জানিয়ে দিল, টেনিস কোর্টে আপাতত রাজত্ব তারই।
আরইউ