ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

পাখির বাসা তৈরির উদ্যোগ বসুন্ধরা শুভসংঘের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪১, জুন ১২, ২০২৫
পাখির বাসা তৈরির উদ্যোগ বসুন্ধরা শুভসংঘের

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পাখিদের বসবাসের জন্য গাছের ডালে মাটির তৈরি কৃত্রিম বাসা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) হোপের হাটে থাকা গাছের ডালে ৫০টি বাসা বেঁধে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্ষেতলাল শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ।

 

এ জেলায় প্রচুর ধান, আলু, সরিষা, আখ, পাট, কলা ও কচু জন্মে। জমিতে কীটনাশক ছিটাতে হয় পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে।

কিন্তু আগের দিনে পাখিরা এসব পোকা মাকড় খেয়ে বাঁচত। কীটনাশক ব্যবহারে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া বড় বড় গাছ কাটার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পরিবেশ রক্ষাকারী পাখি। আগে গাছে গাছে পাখির বিচরণ ছিল দেখার মতো।

কিন্তু, সেদিন আজ আর অবশিষ্ট নেই। পাখিও এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই গাছের ডালে পাখিদের বাসা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।  
 
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ও পরিবেশ কর্মী এম রাসেল আহমেদ বলেন, পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় পাখিদের ভূমিকা অপরিসীম।

পরিবেশ-প্রকৃতির জন্য জয়পুরহাট জেলা এক অনন্য ভাণ্ডার। কিন্তু নানান কারণে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বড় গাছ না থাকায় পাখিরা আশ্রয়স্থল হারাতে বসেছে। পাখিদের আশ্রয়স্থল হারানো খুবই বেদনাদায়ক। এ অবস্থা অনুধাবনের পর আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য গাছের ডালে মাটির তৈরি বাসা বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি।

পর্যায়ক্রমে শত শত বাসা বেঁধে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করলাম। পাখিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, শুরুতে আমরা রাস্তার পাশে বড় বড় বট, পাকড় গাছে এসব বাসা বসাব। পাখির সংখ্যা বাড়ানো ও বিলুপ্তপ্রায় পাখি ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখির নিরাপদ বাসা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমরা নিয়মিত এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম বলেন, পর্যায়ক্রমে পুরো জয়পুরহাটের মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, বাগান বাড়ি, রাস্তার পাশের গাছে গাছে- তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এসব বাসা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধেও আমরা কাজ করছি। আশা করছি এ কার্যক্রমের কল্যাণে পাখিরা ফিরে আসবে।  

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের এলাকায় অনেক পাখি ছিল। দিন দিন এলাকা পাখি শূন্য হয়ে যাচ্ছে। পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান তৈরিতে যুবসমাজ যে ভূমিকা নিয়েছে, তাতে আমি সত্যি গর্বিত। আগে আমরা বিভিন্ন গাছে পাখির বাসা দেখতাম এখন আর সে বাসা দেখা যায় না। আশা করছি পাখিরা এই কৃত্তিম বাসস্থানে নিরাপদে অবস্থান করবে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রচার সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম,  শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, দপ্তর সম্পদক আমির হোসেন, কার্যকরী সদস্য  আশিকুর রহমান,  নাফিস, রনি,  আবিদসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।