ঢাকা, সোমবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোয় যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৯, অক্টোবর ২০, ২০২৫
সরিষার তেলে পোড়া মবিল মেশানোয় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আশরাফ মিস্ত্রি

ঝিনাইদহ: মিলে রাখা দশ ড্রাম সরিষার তেলে শত্রুতামূলকভাবে পোড়া মবিল মেশানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন ঝিনাইদহের একটি আদালত।

দন্ডপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে শহরের হামদহ এলাকার সততা অয়েল মিলে ওই ঘটনা ঘটেছিল।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মাহবুব আলম। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার অপর পাঁচজন আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন হামদহের শেরে বাংলা অয়েল অ্যান্ড রাইস মিলের মালিক আব্দুল মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে সততা অয়েল মিলসের দশ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আশরাফসহ আরো পাঁচজন। ওই সময় ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে (মামলা নম্বর এসটিসি-৮৩/১১) রেকর্ড হয়।  

তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলা চলাকালীন ২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান।

ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার রায় প্রদান করেছেন আদালত।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দবির উদ্দিন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রাশিদুল ইসলাম বলেন, রায় সন্তোষজনক।

মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর ছেলে সততা অয়েল মিলসের বর্তমান সত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ বলেন, রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পাওয়ায় আমরা সংক্ষুব্ধ। অন্যান্য আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আমরা আপীল করব।

কোর্ট পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আদালতের গারদে রাখা হয়েছে। কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।