ঢাকা, বুধবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীর মামলা, তদন্ত করবে দুদক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:১০, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীর মামলা, তদন্ত করবে দুদক স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলন চলাকালের ফাইল ছবি

বরিশাল মহানগরে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলন থেকে ধরে নিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর মো. এমতাজুল হক এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন—কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান, ডিবি পুলিশ পরিদর্শক সগীর হোসেন, কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, স্টিমারঘাট পুলিশ ফাড়ির এসআই নাসিম, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ। এ ছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী হলেন সিএন্ডবি পোল থানা কাউন্সিল পেশকার বাড়ির মসজিদ গলির বাসিন্দা তাসমিন ইয়াসমিন।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান, বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেলকে কলেজ হাসপাতালের দালাল ও এবং সিন্ডিকেট ভাঙাসহ স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা হয়। ধারবাহিকতায় গত ১৯ আগস্ট বাদীসহ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারীরা বরিশাল নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউ সড়কে নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়।

এ সময় পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে বাদীসহ কয়েকজনকে আটক করে। পরে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সংলগ্ন ওয়াপদা কলোনিতে নিয়ে আটকে বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় তাসমিন ইয়াসমিন বাদী হয়ে বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন।

নালিশি অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানিসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ আইনের সরকারি কর্মচারী হিসেবে অসদাচারণ ও অপরাধ সংগঠন করার অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ওই নারীসহ ৫/৬ জন জোর করে পুলিশ পিকআপে ওঠে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে।

এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।