যশোর: জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অভয়নগরের ডহর মশিয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত তরিকুল ইসলাম তার অংশীদারদের সঙ্গে মাছের ঘের ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার পিন্টু বিশ্বাস নামে এক অংশীদার ডিড করে দেওয়ার কথা বলে তাকে ঘেরের কাছে ডেকে নেন। তরিকুল সঙ্গে করে মিষ্টি নিয়ে যান। এসময় তার সহকারী সুমনও তার সঙ্গে ছিলেন।
সুমনের বরাতে জানা গেছে, কথোপকথনের এক পর্যায়ে পিন্টু বিশ্বাসসহ ছয়জন তাকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ঘরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। জীবন বাঁচাতে সুমন সেখান থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, তরিকুলের মাথায় তিন রাউন্ড গুলি করা হয়, শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ডের স্থানটি পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি।
তারা আরও জানান, আশপাশে মাত্র চারটি বাড়ি রয়েছে এবং ঘটনার সময় (রাত ৮টার দিকে) এলাকাটি প্রায় ফাঁকা ছিল। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় দুটি পাসপোর্ট। এর একটি অমর বিশ্বাসের ছেলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের এবং অপরটি ধীরেশ্বর বিশ্বাসের স্ত্রী দুর্গা রাণী বিশ্বাসের।
দুর্গা রাণী পিন্টু বিশ্বাসের মা বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা মাছের ঘেরের কয়েকটি টং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তরিকুলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এতথ্য নিশ্চিত করে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্য সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।
যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশের মুখপাত্র নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, কে বা কারা এবং কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা জোরদারে অভয়নগর থানা, দামুখালি ও গাজীপুর ক্যাম্পসহ যশোর পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকেও অবহিত করা হয়েছে।
এসআরএস