পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট প্রান্তে নদীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- চপল সরদার, রিপন আলী, রাসেল হোসেন, সৈকত হোসেন, সেলিম হোসেন, লালু মিয়া ও সানাউল হক সানা।
এছাড়া রুবেল হোসেন নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাট বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া প্রান্তে বালু উত্তোলন নিয়ে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার প্রকৌশলী কাঁকন আলী ও ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনির মধ্যে বালু মহালের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৯টায় নদীতে বালু উত্তোলন করার সময় তিনটি বড় নৌকা ও দুটি স্পিডবোট নিয়ে বালুমহালে অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় নদীর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে নদী ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সাত-আটজন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদীর সাঁড়া ঘাটের বালু মহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, বালু উত্তোলনের সময় নদীতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এদিকে ভেড়ামারা প্রান্তের ইজারাদার প্রকৌশলী কাঁকনের বরাত দিয়ে একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈশ্বরদী প্রান্তের ইজারাদারের লোকজন এই প্রান্তের লোকজনকে বালু উত্তোলনে বাধা দিয়েছিল। তাছাড়া পদ্মা নদীতে বালুমহালের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদীর সীমান্ত এলাকায় নদীর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পরপরই নৌ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে তার আগেই নৌকা ও স্পিডবোট নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ