জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ৪৫টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি দলের কথামতো সরকারপ্রধান সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। সব দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারপ্রধান নির্বাচনী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মেডিকেল মোড়ে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চেয়েছেন। যদি মনে করেন একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন অথবা তিনি যদি মনে করেন জুনের এক-দুই মাস আগে এপ্রিল বা মে মাসে করা সম্ভব সেটা তিনি দেখবেন। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি এবং বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল মনে করে, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপস করবেন না প্রধান উপদেষ্টা। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, তারেক রহমান হচ্ছেন ওই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি অবশ্যই তার দলের অবস্থান ব্যক্ত করবেন।
তিনি বলেন, এখনও নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে হাইকোর্ট থেকেও বিভিন্ন মন্তব্য এসেছে। তারা কতটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম- তা বিবেচনা করে নির্বাচন দেওয়া উচিত। এর আগে নির্বাচনের টাইম ফ্রেম নিয়ে সরকারকে জোড়াজুড়ি করলে তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবে না।
কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডারের পথসভায় সারজিস বলেন, লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক যান চলাচলের যোগ্য নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এ জেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থ চুরি করেছেন। ত্রিদেশীয় বাণিজ্যিক নগরীর মহাসড়কের এ বেহালদশাই তার চুরির চিত্র প্রমাণ করে। জেলাবাসীর দাবির তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা যে দেশের প্রযুক্তি দিয়ে হয় হবে। আমরা চাই, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা বিনা, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) রাসেল আহমেদ, এনসিপি লালমনিরহাট জেলা কমিটির সমন্বয়ক রকিবুল হাসান প্রমুখ।
সকাল ১১টায় জেলার পাটগ্রামে প্রথম পথসভা করেন সারজিস আলম। এরপর হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডারে, আদিতমারী স্মৃতিসৌধ মাঠে, সরলখাঁ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ও সর্বশেষে রাতে লালমনিরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ে পথসভা করে লালমনিরহাট ত্যাগ করেন সারজিস আলম।
এসএএইচ
