ঢাকা, রবিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে শপথ গ্রহণ বিলম্বিত করছে: ইশরাক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৪, মে ১৭, ২০২৫
সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে শপথ গ্রহণ বিলম্বিত করছে: ইশরাক বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন ট্রাইবুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও শপথ অনুষ্ঠানে গড়িমসি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন জানান, শপথ গ্রহণের দাবিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আমি বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলাম। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাচনী অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিজয়ী হন। ভোটারবিহীন কেন্দ্রে ইভিএম দখল করে ভোটগ্রহণ করা হয়।

নির্বাচনের পরদিন, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে, নির্বাচন কমিশন তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এর বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলা করেন। তিনি ওই গেজেট বাতিল করে নিজেকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করার আবেদন জানান।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ রায় ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ২০২০ সালের গেজেটটি বাতিল এবং ইশরাক হোসেনকে বৈধভাবে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এই রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল নতুন গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইশরাক বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে এবং তার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে, ৩০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু গেজেট প্রকাশের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও শপথগ্রহণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আইনের স্পষ্ট বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অবিলম্বে আমাকে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করেন।

টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।