ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সাম্প্রতিক ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

 

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘একুশে আগস্টের ভুক্তভোগী পরিবার, জিয়ার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারবর্গ’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭৭ সালে জাপানি বিমান হাইজ্যাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমান ১৫০০ মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের কোনো বিচার করা হয়নি। নিয়মমতো পরিবারের কাছে তাদের লাশও হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের হত্যা করে জিয়াউর রহমান মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছিল। জাতীয় চার নেতাকে অসহায় অবস্থায় জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। তার পথ ধরেই খালেদা জিয়া শাসন করেছে। তখন কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির চর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি কখনও ১৯৭৭ সালে নিহত ১৫০০ ব্যক্তির স্বজনদের কথা শোনেননি।

মানববন্ধনে সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো, তার মরণোত্তর বিচার এবং জিয়ার আমলে হওয়া সব হত্যা যাচাইয়ে কমিশন গঠন করার দাবি জানান সাবেক এ বিচারপতি।

‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, গাড়ি পুড়িয়ে গ্রেপ্তার হলে তাদের ব্যাপারে মানবতা লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুসারী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। একহাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তখন দেশের সুশীল সমাজ ও সংগঠনগুলো মানবাধিকারের কথা বলেনি।

তিনি বলেন, সমস্ত হত্যা ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা চিহ্নিত। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।  

মানববন্ধনে নিহত সার্জেন্ট হাশেম মজুমদারের সন্তান মামুনুর রশীদ মামুন, আকবর আলী খানের সন্তান মুনীম, চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট আব্দুল গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিকের সন্তান মাসুমা বেগম বক্তব্য রাখেন।  

এছাড়া ১৯৭৭ সালের ৩ অক্টোবর নিহত সেনাসদস্যদের স্বজন এবং ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় ভুক্তভোগী সদস্যরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad