ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

দৃশ্যের আড়ালে আগুনে পোড়া একজন শ্রমিক বিপ্লবী

হাবীব ইমন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
দৃশ্যের আড়ালে আগুনে পোড়া একজন শ্রমিক বিপ্লবী প্রদীপ চক্রবর্তী

নকশালবাড়ি সংগ্রাম সহায়ক কমিটির সভা হবে কলকাতার রামচন্দ্র হাই স্কুলে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন অভিনয় জগতের প্রবাদপুরুষ উৎপল দত্ত।

প্রদীপ চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি এলেন সেখানে। দীর্ঘ আলাপের পর তার সঙ্গে করমর্দন করতে করতে উৎপল দত্ত বললেন,  একজন সত্যিকার লড়াকু শ্রমিক কমরেডের সঙ্গে সাক্ষাত হয়ে ভালো লাগছে।

এমন অনেক বিপ্লবী পুরুষ ছিলেন যারা বাস করতেন গ্রামে-গঞ্জে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ওইসব নিভৃত অঞ্চলে থেকে বিদায় নিয়েছেন। ইতিহাসে তাদের নামই আসেনি। এদের নাম সবসমই অপ্রকাশিত থাকে। আমাদের সভ্য সমাজের আলোতে তাদের তেমনভাবে আর দেখা মেলেনি। তাদের অবদান, তাদের ত্যাগ-সাফল্য সবই রয়ে গেছে অন্ধকারে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো-এসব বিপ্লবীর আপোসহীন সংগ্রাম এবং প্রথাগত রাজনীতির বাইরে গিয়ে শোষণমুক্ত-সাম্যের সমাজ গড়তে তরুণ-নবীনদের পথকে অনুকরণীয় করেছেন। অনুসরণীয় থেকেছেন। প্রদীপ চক্রবর্তী তেমনি একজন আগুনে পোড়া শ্রমিক বিপ্লবী নন কেবল, দৃশ্যের অন্তরালে পশ্চিমবঙ্গে গণসংস্কৃতি আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরোধা ছিলেন।

তার জন্ম শেরপুর শহরের উপকণ্ঠে। ১৯৪২ সালে। শেরপুর তখন অবিভক্ত বাংলার ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্ভ‍ুক্ত ছিল। তার সেজকাকা গোপালচন্দ্র চক্রবর্তী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে হাজং বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তার বাবা শচীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চিত্রশিল্পী ছিলেন। অসাধারণ বাঁশি বাজাতেন তিনি। শেরপুর শহরের একটি দেয়ালে ব্রিটিশবিরোধী কার্টুন এঁকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি কংগ্রেস ভাবধারানুসারী ছিলেন, কিন্তু দেশ থেকে ব্রিটিশরা চলে যাবার পর যে কংগ্রেস সরকার ভারতবর্ষে ক্ষমতায় বসে তারা তাকে তাম্রপত্র দিতে চাইলে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন, কেননা তার মনে হয়েছিল কাঙ্খিত স্বরাজ এখনো পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহের বাড়িতে শেল্টার ছিল উপমহাদেশের কিংবদন্তী বিপ্লবী কমরেড মণি সিংহের। সেই সময়ে তিনি প্রদীপ চক্রবর্তীকে শৈশবে কোলে নিয়েছেন, আদর করেছেন। শৈশবে কমরেড মুজাফফর আহমদ ও কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার শেরপুরের পৈত্রিক বাড়িতে এসেছিলেন। কমরেড মুজ‍াফফর আহমদ তাকে কোলে নিয়েছিলেন। এইসব স্মৃতি পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন আর বিভেদ রাজনীতির বিরুদ্ধে শ্রমিক বৈপ্লবিক আন্দোলনে যুক্ত হতে তাকে অনুপ্রাণিত করে।

দেশভাগে পরিবারসহ প্রদীপ চক্রবর্তী কলকাতায় চলে এসে উদ্বাস্তু পরিচয়ে বড় হতে থাকেন। কিশোর বয়স থেকেই দারিদ্র্যের প্রবল অভিঘাতে তাকে পথে নামতে হয়। বিক্রি করতে হয় ফল, কুড়োতে হয় কাগজ। এই সময়ে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘের বেলঘরিয়া ইউনিটে যোগ দেন। অংশ নেন পূর্ণেন্দু পালের পথনাটক ‘পদ্মানদীর মাঝি’তে। যদিও নানা কারণে তার অভিনয় করা হয়নি। এরপর পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, বিড়িশ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক কমরেড সুধাংশুর সান্নিধ্যে আসেন। সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন।

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘৫৯-র খাদ্য আন্দোলনে তিনি মিছিলে অংশ নেন। সেই মিছিলে পুলিশের লাঠির আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। অচৈতন্য অবস্থায় রাজপথে পড়ে থাকেন। সেই সময় তার সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার না করলে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হতে পারত।

ষাটের দশকে তিনি বেঙ্গল পটারিতে যখন শ্রমিকের কাজ করতেন তখন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তার কাছের নেতা ছিলেন শান্তি ঘটক। কিন্তু একজন নির্দোষ শ্রমিককে যখন মালিকপক্ষ মিথ্যে অযুহাত দেখিয়ে ছাঁটাই করে তখন ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চুপ থাকলেও তিনি একাই প্রতিবাদ করে চাকরি ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নও ছেড়ে দেন। শান্তি ঘটক ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনেক বোঝালেও পুরোনো পার্টির প্রতি মোহ ঘুচে যেতে থাকে তার।

বাড়িতে প্রবল অনটন। দিন-মজুরি করে উপার্জন করে মা-ভাইকে প্রতিপালন করতে হয়, তবু স্বপ্ন পরিত্যাগ করতে পারেন না। প্রতিনিয়ত স্বপ্নের ভেতর তিনি বেঁচে ছিলেন, সৃষ্টির আনন্দ ও বেদনার সৌন্দর্যের মধ্যে তিনি বেঁচে ছিলেন। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়া গড়ে তোলার নিরলস যোদ্ধা ছিলেন তিনি। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণসংগ্রামে সব নারী-পুরুষ, কর্মী, সংগঠক নেতার কাছে তিনি ছিলেন অভিভাবক। সাধ্যের বাইরেও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন করেছেন দুর্যোগ দিনে।

১৯৬৭-তে উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়িতে কৃষক বিদ্রোহ ফুঁসে ওঠে, তিনি নকশালবাড়ি কৃষক সংগ্রাম সহায়ক কমিটিতে যোগ দেন। যদিও এর আগেই কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাড়া থাকাকালেই তিনি কবি সমীর রায় ও অন্যদের সঙ্গে একসাথে সিপিএম-র ভেতরে মতাদর্শগত সংগ্রাম চালানোর কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে বাম ধারার প্রভাবে খতম অভিযান চলার সময়ে জরুরি অবস্থা জারি হলে, অনেকের মতই তাকে ধরার জন্য জারি করা হয় হুলিয়া। গোপন কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হন। তার একটি ফুসফুসে প্রভাব পড়ে। পরে সেই ফুসফুসটি বারে বারে তার সাথে অসহযোগিতা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলছে তখন। ভারতে জরুরি অবস্থা চলছিল। ধরপাকড় চলছিল। সেই সময় কবি পার্থ বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে কপর্দকহীন অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পথে রাজাকারদের হাতে আটক হন। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মুক্ত করে। এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সঙ্গে তার গভীর সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি তাকে ময়মনসিংহে তার জন্মভূমি নিয়ে যাবেন বলেছিলেন। তার আরও ইচ্ছা ছিল কমরেড মণি সিংহের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু তা হয়নি। সেই কমান্ডার-বন্ধুটি শহীদ হন। তার কাছের মানুষদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক গনেশ ঘোষ, দ্বিজেন চক্রবর্তী, কবি সমীর রায়, কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কানাই চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

প্রদীপ চক্রবর্তী সুন্দরবনে কৃষক আন্দোলনে শহরের দায়িত্ব পালন করেন সত্তর দশকের শেষের দিকে। সেখানে ঘেরাও দমন সন্ত্রাসের কবলে পড়া কৃষক কমরেডদের পরিবারের আশ্রয় স্থল ছিল তার ভাড়া বাড়ি। নিজে তাদের আত্মীয় পরিচয়ে রাখতে দিয়ে তিনি স্টেশনে ঘুমোতে যেতেন। বৈরি সময় চলছে তখন। একদিন তিনি রেললাইন ধরে ফিরছেন, তার বিরুদ্ধে তখনও হুলিয়া। দেখলেন দুজন পুলিশ বলাবলি করছে যে, ‘ব্যাটা নকশাল, ওটাকে ধরা দরকার। ’ কিন্তু অন্যজন বলছে,‘দূর ও কোনো নকশাল নয়, দেখছিস না কেমন দুলেদুলে হাঁটছে। ’ তিনি বেঁচে গেলেন। আরেকবার তার ঢাকুরিয়ার ঘড়ির দোকানে সরাসরি পুলিশ এলো তার খোঁজ করতে। তিনি তাদের বললেন, ‘আমি কর্মচারী, তিনি কোথায় জানি না। ’

কবি সমীর রায়ের সঙ্গে একবার তিনি গেলেন মগরাহাটে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার হটনগর গ্রামে কৃষক আন্দোলন চলছে। পুলিশ গুলি চালিয়ে তিনজন বিপ্লবীকে হত্যা করেছে। সরল ভট্টাচার্য, সুবীর, বিদ্যা। বিদ্যা গ্রামের ছেলে। কবি সমীর রায় পরে এই সংগ্রাম নিয়ে লিখেছিলেন, ‘হটনগরের মশাল’ কাব্যনাট্য। বিদ্যা ভূমিহীন কৃষকের সন্তান। তার মায়ের সামনে তো পার্টিকে দাঁড়াতে হবে, লিডার হিসেবে সমীর রায় প্রদীপ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে যান। পুলিশকে বেপরোয়া খিস্তি দিয়ে তাদের উদ্ধার করে দেয় বিদ্যার মা আর প্রতিবেশীরা, কিন্তু তাদের শ্রেণীচেতনা এতই প্রখর ছিল যে তারা পুলিশে ধরিয়ে দেয়নি। তারা যে খাননি সেটা বিদ্যার মা বুঝতে পারেন। আটকে রেখে তাদের খাইয়ে তবে ছাড়েন তিনি।

আশির দশকে একটি প্রগতিশীল বিপ্লবী লেখক শিল্পী সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল। সেই সংগঠনের নাম বিপ্লবী লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবী সংঘ। সেই সংগঠনের কাজে প্রদীপ চক্রবর্তী জড়িয়ে পড়েন। যদিও তিনি মূলত শ্রমিক আন্দোলনের মানুষ। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি বিখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের বাড়িতে যান। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে।

প্রদীপ চক্রবর্তী আসামে সংগঠন গড়তে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কলকাতায় ফিরে এসে বিবাহ করেন। জরুরি অবস্থা উঠে গেলে আবার ছাত্র-যুব বন্দিমুক্তিসহ বিভিন্ন আন্দোলনে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গণআন্দোলনের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়েও বিরোধী শক্তিদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় কয়েকবার। তাতে পুরোনো ক্ষত পুনরুজ্জীবিত হয়।

বড় স্বপ্ন দেখতে গিয়ে তার বন্ধুরা জেলবন্দি হন, শহীদ হন, তিনি তা হননি বলে তার আক্ষেপ ছিল। তাই আজীবন তার বন্ধুদের স্মৃতির কাছে সৎ থাকতে চেয়েছিলেন। আর তা থাকতে গিয়ে তার ঘর চির-অন্ধকারে ডুবে থেকেছে, সেখানে কোনো আলো জ্বলেনি। তার একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবধি ছিল না। না, এটা কোনো বাড়তি কথা নয়। ঢোলা পাতলুন, খদ্দরের পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ এইটুকু ছিল তার সম্বল। তিনি বুদ্ধিজীবী ছিলেন না, একজন খাঁটি শ্রমিক ছিলেন। সত্যিকার সর্বহারা শ্রমিক হবার জন্যে তার প্রচেষ্টা ছিল।

কবি শঙ্খ ঘোষের কথাই বার বার সত্যি হয়ে ওঠে-এক দশকেই সংঘ ভেঙে যায়। হ্যাঁ, বিপ্লবীর চেয়ে নেতা অনেক বেশি, সমাজ বদলের জন্য লড়াইয়ের তুলনায় কূটতর্ক অনেক বেশি, এসব প্রদীপকে অতিরিক্ত যন্ত্রণার শিকার করে তোলে। ফুসফুসে রক্ত উঠতে থাকে তার। ভর্তি করতে হয় চিত্তরঞ্জন হসপিটালে। মাত্র দু’বছর পরেই আবার রক্ত ওঠে। বন্ধ হয় না। শ্বাসরোধ হয়ে আসে। আবার তাকে ভর্তি করতে হয়। এবারে প্রথমে এক রক্তচোষা বেসরকারি নার্সিংহোমে, তারপর আর জি কর হাসপাতালে। মারাত্মক টানাপড়েন চলে। যিনি তার প্রায় গোটা জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বিলিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ছিলেন, তার জন্য এই নির্মম পৃথিবীতে একফোটাও অক্সিজেন বোধহয় ছিলো না! যে ঘড়ি মেকানিক পৃথিবীর সমস্ত ঘড়ির সময় একইসাম্যে দেখতে চেয়েছিলেন তারই ঘড়ির কাঁটা থেমে গেল এভাবেই। প্রদীপ চক্রবর্তী চলে গেলেন ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি। তখনও সূর্য ওঠেনি! প্রকৃত অর্থে পরিপূর্ণ সংগ্রামী, বিপ্লবের মানুষ হিসেবে ছিলেন সবসময় নিবেদিত। সৃষ্টির বিচিত্র কোণে তিনি আলো ফেলে গেলেন। তার শোষণ মুক্তির আদর্শ ও বিপ্লবের প্রতি অবিচল, আত্মত্যাগ-সততা-সাহস, লড়াকু মনোভাব ও কথা ও কাজের সমন্বয় সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন মনোভাবের অভিযাত্রা ও প্রণোদনায় তার এই আকস্মিক চলে যাওয়া আজ আরো কতোটা না মহান।

চিতার আগুনে জ্বলে জ্বলে একসময় ছাই হয়ে যায় প্রদীপ চক্রবর্তীর মরদেহ। কিন্তু যে জীবন ও সংগ্রামী দৃষ্টান্ত তিনি সারাজীবনের অক্লান্ত সাধনায় রেখে গেছেন, তা অনন্য। এ কথা সত্য এবং একটি বড় সত্য যে, সবকিছু ছাড়িয়ে তিনি বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষ, বিশেষ করে নির্যাতিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার এবং তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আপোসহীন চেষ্টা করে গেছেন, আজীবন। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন একটি ভেদাভেদহীন ন্যায়ভিত্তিক সমাজের, যেখানে থাকবে সুশাসন, সুবচন ও স্বাধীনতা। কৈশোরে, যৌবনে কেউ কেউ এই স্বপ্ন দেখেন বটে, তবে জীবনের যাত্রাপথে বাস্তবতার নির্মম আঘাত তা বিচূর্ণ করে ফেলে।

হাবীব ইমন: বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।