ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: আনুষ্ঠানিকভাবে মারাকেশ চুক্তিতে অনুসমর্থনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সব দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধীদের বাধামুক্ত তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।  

বর্তমান প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-বান্ধব সরকারের নেতৃত্বে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মারাকেশ চুক্তিতে অনুসমর্থন করেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের ১১৬তম দেশ হিসেবে মারাকেশ চুক্তি অনুসমর্থন উদযাপন এবং এর জন্য পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি। ‘ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)’ ও ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটির ফলে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তি, ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং কোনো না কোনোভাবে পড়তে অক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য ব্রেইল, অডিও অথবা বড় হরফে বই এবং দলিলাদি মুদ্রণ করা যাবে। এক্ষেত্রে লেখকের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে এ কাজ করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আনোয়ার উল্যাহ, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার ও যুগ্মসচিব মো. দাউদ মিয়া এনডিসি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং ভিজুয়াল ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর আহমেদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘কপিরাইট আইন ২০২২’ বহুমাত্রিক ও বহু অংশীজনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি আইন। ২৮টি মন্ত্রণালয়ের মতামত সন্নিবেশিত করে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী আইন হিসেবে এটি প্রণীত হতে যাচ্ছে। অতিদ্রুত আইনটি বিল আকারে পাসের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। কপিরাইট আইন পাসের মাধ্যমে মারাকেশ চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন হবে মর্মে আমি মনে করি। আইনটির ৫১ ধারা ও ৭০(২) উপধারায় এ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়েছে।

কে এম খালিদ বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীসহ সব জনগোষ্ঠীর সুষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের বেগম সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারে ‘ব্রেইল কর্নার’ চালু করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘১০০০টি গ্রন্থাগারে মুজিব কর্নার স্থাপন’ প্রকল্পে ব্রেইল বই যুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রেইল বই প্রকাশনায়ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সেমিনারে ‘এসডিজি অর্জন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতকরণে মারাকেশ ট্রিটি অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এটুআই প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ভাস্কর ভট্টাচার্য। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট কপিরাইট বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস)’ সভাপতি নাসরিন হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ)’ সমন্বয়কারী নাজরানা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এইচএমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।