ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মাকে হত্যার চার বছর পর ছেলে গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
মাকে হত্যার চার বছর পর ছেলে গ্রেফতার

রংপুর: চার বছর পর জাহানারা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে আব্দুর রহিমকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিম নিজ মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পিবিআই’র।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন।

গ্রেফতার আব্দুর রহিম নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার রুপাহারা গ্রামের মৃত আতাউর রহমান আতা মিয়ার ছেলে।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রুপাহারা গ্রামের মৃত আতাউর রহমান আতা মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৭২) ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তার মেয়ে নাজমা বেগম। উদ্ধারের পর প্রথমে তাকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট জাহানারা বেগমের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল নিহতের মেয়ে নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় রংপুর পিবিআই। পুলিশ পরিদর্শক যতীন্দ্রনাথ শর্মা মামলার তদন্ত শুরু করেন।

তদন্তকালে জানা যায়, জাহানারা বেগম ভরণপোষণ দেওয়ার শর্তে তার নিজ নামের ১৭ শতক জমি ছেলে তারা মিয়া এবং ২০ শতক জমি আরেক ছেলে আব্দুর রহিমকে রেজিস্ট্রি করে দেন। জমি লিখে নেওয়ার পর আব্দুর রহিম মায়ের ভরণপোষণ দিচ্ছিলেন না। এসব নিয়ে মায়ের সঙ্গে রহিমের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো।

ঘটনার দিন রাতে জাহানারা বেগম জানতে পারেন তার দেওয়া ২০ শতক জমি রহিম বিক্রি করার জন্য দেনদরবার করছেন। তখন জাহানারা বেগত ছেলে রহিমকে জমি বিক্রি করতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রহিম কাঠের ফালি দিয়ে জাহানারার মাথায় আঘাত করেন। এরপর পালিয়ে যান।

রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর গত সোমবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহিম তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি ক্লুলেস মামলা ছিল। আমরা সেই ক্লু বের করে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।