ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করত তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করত তারা

ঢাকা: রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশন কেন্দ্রীক টিকিট কালোবাজারির দায়ে মূলহোতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। তারা স্টেশনে সরাসরি এবং ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে উচ্চমূলে টিকিট বিক্রি করতো।

 

র‌্যাব জানায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে এক একটি এনআইডি দিয়ে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করে আসছে। এছাড়া, অনলাইনে বিভিন্ন এনআইডি ও মুঠোফোন নাম্বার ব্যবহার করেও টিকিট সংগ্রহ করে থাকে। পরে ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে তারা অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রির তৎপরতা শুরু করে। এমনকি ফেসবুক গ্রুপ খুলেও দেয় টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা মো. সেলিম (৪৮) সহ ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্রেনের ৮৮টি টিকিট, চারটি মোবাইল ফোন এবং ১৮ হাজার ৪৪৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- মো. শাহ আলম (৩৪), লিটন (৩৫), আ. রশিদ ফকির (৩০) ও খোকন মিয়া (৫৮)।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর টিকাটুলিতে নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনাতে থাকে চক্রটির মজুদকৃত কালোবাজারির টিকিটের দাম তত বাড়াতে থাকে। সাধারণত দিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করলেও সুযোগ বুঝে তারা টিকিটের দাম আরও বাড়িয়ে দেয়।

এই চক্রটি মূলত তিস্তা এক্সপ্রেস, এগারো সিন্দুর প্রভাতী, মহানগর প্রভাতী, চট্টলা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা‌ এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং পারাবত এক্সপ্রেস- এসব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে থাকে। তাদের আরও সদস্য ইউনিট রয়েছে, প্রতিটি ইউনিটে ৫-৭ জন করে সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যারা তাদের টার্গেটকৃত ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে সাধারন যাত্রীদের কাছে চড়াদামে বিক্রি করে আসছিল।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, এই সংঘবদ্ধ চক্রটি গত ৭ বছর ধরে মূলহোতা সেলিমের নেতৃত্বে টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।

ঈদের সময় তাদের দৌরাত্ম আরও বেড়ে যায় জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ঈদসহ বিভিন্ন ছুটি এবং উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা এক একটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গত কোরবানির ঈদের সময় ৫০০ টাকার টিকিট সর্বচ্চ ২ হাজার টাকায়ও বিক্রি করেছে।

চক্রের মূলহোতা সেলিমের নামে টিকিট কালোবাজারির দায়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট ৭ টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে বিভিন্ন মেয়াদে জেলও খেটেছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
পিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।