ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে ছাদ ধসে দুজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২২
খাগড়াছড়িতে ছাদ ধসে দুজন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের নির্মাণাধীন ছাদ বারান্দা ধসের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম সিকদার (২৮) নামে আরও একজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই জনে।

আহত হয়েছে ৫ জন।

শনিবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের নির্মাণাধীন ছাদ বারান্দা ধসে পড়ে।  

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো. রোকন (৩৮), মো. হাসান (২৪), মো. হানিফ (২৫), মো. হানিফ (২৭) ও  মো. সোহেল (২৩)।
নিহত সাইফুল বাগেরহাটের চিতলমারী থানার কলিগাতি গ্রামেন মো. সোহরাব হোসেনের ছেলে। এর আগে জেলা শহরের কলেজগেইটের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দিনগত রাতে উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট। তবে আরও কয়েকজন আটকে থাকতে পারে বলে আশংকা জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এতে পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে আহ্বায়ক ও গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করা হয়েছে।

আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

এদিকে পরিষদের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করার আশ্বাস দেওয়া হয়।

ধসে পরা ছাদের সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন একাধিক উদ্ধার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া বরেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ছাদটি নির্মাণের যে সেন্টারিং তৈরি করা হয়েছে সেটি দুর্বল ছিল।  

খাগড়াছড়ি সেনা সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস মিলে আমরা নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি চাদের সেন্টারিং'র ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম প্রমুখ।

২০১৮ সালের দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ শুরু হয়। ভবনটির সামনের অংশে ১৬জন শ্রমিক কাজ করছিল বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২২
এডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।