ঢাকা: গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ সেবার উন্নয়নে ও শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তথ্য প্রদান এবং জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য উদ্ভাবনী আইডিয়ার খোঁজে শুরু হয়েছে ‘প্রেগনেন্সি মনিটরিং ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা।
এলক্ষ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অনুশীলনের সমন্বয়ে একটি উদ্ভাবনী সমাধান দেশীয় উদ্ভাবকদের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
এটুআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রেগনেন্সি মনিটরিং ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক এ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
‘প্রেগনেন্সি মনিটরিং ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ এর মাধ্যমে এমন একটি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাকে পুরস্কিত করা হবে, যার মাধ্যমে প্রতিটি নারীকে তার গর্ভধারণকালীন সময়ে জরুরি সেবা সম্পর্কিত সব তথ্য প্রদান এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যা একটি দ্বিমুখী যোগাযোগ ও ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের পরিচর্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের আচরণগত পরিবর্তনে কাজ করবে।
এছাড়াও গর্ভবর্তী মায়ের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য যেমন তাপমাত্রা, ঘুম, চলাফেরা, পালস ইত্যাদি সংরক্ষণ করবে। দেশীয় উদ্ভাবকদের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আগামী ৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: challenge.gov.bd।
প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে উদ্ভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাগুলো থেকে ১০টি সেরা আইডিয়া প্রদানকারী উদ্ভাবকদের নিয়ে একটি বুটক্যাম্প করা হবে। বুটক্যাম্পে বিচারকদের সামনে উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এর মধ্য থেকে সর্বোত্তম দু’টি আইডিয়া প্রদানকারীকে পরবর্তী ধাপের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্য থেকে বিজয়ী আইডিয়া প্রদানকারী/প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিয়ত মেনটরিং করার পাশাপাশি প্রস্তাবিত আইডিয়ার গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সিড মানি হিসেবে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা অনুবিভাগ) নীতিশ চন্দ্র সরকার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার।
এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং এটুআই ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল।
এটুআই-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. শবনম মোস্তারীর সঞ্চালনায় অনলাইন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই ইনোভেশন ফান্ডের প্রধান নাঈম আশরাফী, এটুআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, আইসিডিডিআর,বি, ওজিএসবি, স্বাস্থ্য খাতে জড়িত বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ