ঢাকা : বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে যে আইনি ক্ষেত্রগুলো রয়েছে তাতে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তারই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাতারের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তি হবে। তার মানে এই নয় যে, আসামি বিনিময় হবে। এটা হলো- ওদের লিগ্যাল সিস্টেমটা কেমন আছে, কীভাবে অপারেট করে, ওদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা কেমন, ওদের জেল কীভাবে চলে। তাদের (কাতার) সঙ্গে আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের একটা চুক্তি হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চুক্তি হলে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে যে আইনি ক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে সহযোগিতা করা যাবে। আইনি ক্ষেত্রে ওদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তাদের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করে নিজেদের মধ্যে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (বিনিময় কর্মসূচি) করা যাবে। এখান থেকে লোক ওখানে যেতে পারবে। ওদের কর্মকর্তারা এখানে আসতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সরকার যদি মনে করে সেক্ষেত্রে বারের সাথেও যোগাযোগ করতে পারবে। ওদের বার কীভাবে চলে, আমাদের বার কীভাবে চলে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারবে।
মন্ত্রিসভায় আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রটোকল ৫০ (এ) এবং ৫৬ সংশোধন অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) কাউন্সিলের সদস্য হলো ৩৬ জন, এটাকে ৪০ জন করতে হবে। আর এয়ার ন্যাভিগেশনের কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১৯ থেকে ২১ করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি, এটা আগেই করা ছিল। তাই ছোট দুটি সংশোধনের জন্য এটা মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ সেপ্টেম্বর ৪,২০২২
জিসিজি/এমজে