ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘একঘরে’ করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আমরণ অনশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
‘একঘরে’ করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আমরণ অনশন আমরণ অনশন কর্মসূচি।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মামলার সাক্ষী হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী ও তার পরিবারকে ‘একঘরে’ করে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার।  

শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য।  

স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের মেয়ের জামাতা, মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী দেওয়ার পর থেকে পরিবারটিকে তারা একঘরে করে রাখে।  

ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী বলেন, ৯ মাস আগে মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেলসহ কয়েকজন স্থানীয় বখাটে হাসিনা আক্তার নামে এক নারীর ঘর ভাঙচুর ও নির্যাতন করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ সরেজমিনে তদন্তকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী দিলে ফরিদ ও তার বাহিনী মিলে তার ও পরিবারের ওপর হামলা চালায়। পরে ৯৯৯ ফোন করলে থানা পুলিশের সহায়তায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সখীপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। পরে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় টাঙ্গাইল আদালতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে (সিআর ৪৪২) মামলা করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। এর পর থেকেই গত নয় মাস ধরে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী ও তার পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে। গত কোরবানির ঈদে আমাকে সমাজের গোশতও দেওয়া হয়নি। এলাকায় কারো সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না দিতেন তাহলে আমার পরিবারকে না খেয়ে মরতে হতো। এমপি মহোদয়, পৌর মেয়র ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বারবার বিচার চেয়েছি কোনো প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হয়ে আজ আমার পরিবারকে নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।  

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।  

মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ বলেন, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সব অভিযোগ মিথ‍্যা। তাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে বিষয়টি সত‍্য নয়। সমাজের একাধিক ব‍্যক্তির নামে মিথ‍্যা মামলা করায় সমাজবাসী তাকে সমাজচ্যুত করেছেন।  

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।