রাজশাহী: ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো নিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে আকস্মিকভাবে ধর্মঘট শুরু করেন অটোরিকশা চালকরা।
এরপর বিকেল পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সড়ক অবরোধ করে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অটোরিকশা ধর্মঘটের সমর্থে রাবির সামনে মহাসড়কে সিএনজি হিউম্যান হলারকে বাধা দিলে সড়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা করার দাবিতে তারা ধর্মঘট পালন করছেন। এর কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোববার অফিসগামী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহান। আর ছোট অটোরিকশাগুলো চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ইচ্ছে মত ভাড়া হাঁকিয়েছেন তারা।
দূরত্ব ভেদে ২০ টাকার ভাড়া ৪০/৫০, ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করেছেন। সুযোগ বুঝে এই রিকশা চালকরা অন্যায়ভাবে কিছু বাড়তি টাকা আয় করে নিচ্ছেন। ফলে শাখের কড়াতের মত দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন- সাধারণ যাত্রী।
এদিকে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রোববার সকালের পর দুপুরে আনারও মহানগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন অটো চালকেরা। প্রথমে তারা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। যেখানে রিকশার ভাড়া পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ অটোরিকশার সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকাই রয়ে গেছে। তাই অটোর ভাড়া নূন্যতম দশ টাকা না বাড়ালে তারা তাদের ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
অটোরিকশার আকস্মিক ধর্মঘট প্রশ্নে রাজশাহী ব্যাটারি চালিত অটো মালিক সমিতির সভাপতি সাগর হোসেন দাবি করেন, সমিতিকে না জানিয়েই চালকদের একটি পক্ষ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে হঠাৎ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এই ধর্মঘটের বিষয়ে জানেন না। মহানগরীর নওদাপাড়া ও তেরখাদিয়া ডাবতলা মোড়ের একটি সংগঠন তার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদের কোনো কথায় পাত্তা দেননি। এসবের পেছনে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর ইন্ধন যোগাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এসএস/জেআইএম