ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক গ্রেফতার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক গ্রেফতার!

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রী (১৫) বিয়ের কথা বলে তেঁতুলিয়া থেকে আটোয়ারী উপজেলার ধামোড় ইউনিয়নে নিয়ে দলবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় ২০ দিনের মাথায় প্রধান আসামি প্রেমিক হাসান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আটোয়ারী উপজেলা সদরে ব্যাটারি চালিত একটি ইজিবাইক (অটো) থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে প্রতারক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে গত ৭ আগস্ট (রোববার) সকালে আটোয়ারী থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত হিসেবে মামলা দায়ের করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা প্রধান আসামি হাসানকে (মূলহোতা) গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

গত ৬ আগস্ট (শনিবার) রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়।  
ভুক্তভোগী ছাত্রী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর নিজ বাড়ি তেঁতুলিয়ায় অবস্থান করছেন।

এদিকে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) দুলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি প্রতারক প্রেমিক হাসানকে (মূলহোতা) গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এ নিয়ে এ মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।

এর আগে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ঘটনার পরদিন ৭ আগস্ট (রোববার) আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৫) (মূলহোতা), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), তার ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), খাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও কৈলাসের ছেলে ওমর (৩০)।

জানা গেছে, এক বছর আগে মালগোবা গ্রামের হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই কিশোরীর। ৬ আগস্ট (শনিবার) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায় সে (কিশোরী)। দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করার কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় হাসান। বিকেলে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে আটোয়ারী উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করেন তাকে। এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, তাদের প্রতিবেশী নজরুল ও ওমর সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়।

এ সুযোগে তারাও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে তাকে ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে উদ্ধার করে বন্দরপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। পরে নায়েব আলী তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা আসেন এবং রোববার ভোরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ছাত্রীকে।

** প্রেমিকের পর বাবা-ছেলেসহ অন্যদের ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।