ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি জাতীয় কমিটির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি জাতীয় কমিটির

ঢাকা: ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ফুলবাড়ী দিবস’ উপলক্ষে ফুলবাড়ীর বীর শহীদ তরিকুল, আল আমীন, সালেকিন এর প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

 

এ সময় জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, নজরুল ইসলাম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মাসুদ রানা, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম সবুজ, ডা. হারুন উর রশীদ, মিহির ঘোষ, বহ্নি শিখা জামালী, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, আকবর খান, জুলফিকার আলী আলী, সীমা দত্ত, তৈমুর খান অপু, বিধান দাস, মানস নন্দী, আব্দুল  কাদের, নুরুল ইসলাম গাজীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

জাতীয় কমিটি ঢাকা মহানগর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, সাম্যবাদী আন্দোলন, গণমুক্তি ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি,  কমিউনিস্ট লীগসহ বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  

পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স ফুলবাড়ী চুক্তির ৬ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করে বলেন, ফুলবাড়ী গণআন্দোলনের ১৬ বছর পার হলেও এখনও এশিয়া এনার্জিকে বহিষ্কার করা হয়নি। উল্টো আন্দোলনকারীদের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে।  

এসময় অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।  

তিনি আরও বলেন, ফুলবাড়ী চুক্তিতে দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তেল নিষিদ্ধ থাকার পরও দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটে দেশ বিদেশের ‘কয়লা ব্যবসায়ী’ ও কমিশন এজেন্টরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি এসব বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।  

তিনি দেশের জাতীয় সম্পদ সমূহের ওপর শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে দেশের স্বার্থে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানান।  

এসময় শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের উদ্দেশ্যে স্যালুট জানানো হয়।  

প্রসঙ্গত, জমি, পানি, জনপদ, পরিবেশ ধ্বংস করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি বাস্তবায়নের প্রস্তাবকারী এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়ীস্থ অফিস ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিছিলের ওপর টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করে। এসময় তরিকুল  ইসলাম, আল আমিন ও সালেকিন নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় আরও তিন শতাধিক। এদের মধ্যে বাবলু রায় নামে একজন চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।  

এরপর ফুলবাড়ীবাসীর টানা চারদিনের গণআন্দোলনের মুখে ৩০ আগস্ট, তৎকালীন সরকার ফুলবাড়ী বাসির সঙ্গে ছয় দফা শর্তে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যা ফুলবাড়ী ছয় দফা চুক্তি বলে পরিচিত। এরপর থেকে দিনটিকে ফুলবাড়ী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তেল গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন।  

এদিন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তেল গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
আরকেআর/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।