ঢাকা, শনিবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ মে ২০২৪, ১৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব জনমত গঠনে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব জনমত গঠনে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান

ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। একই সঙ্গে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।


 
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়। ব্যস্তুচ্যুত এসব মিয়ানমার নাগরিকের সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এসব নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে জন্য তাদের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাই তাদেরই সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সে জন্য আসিয়ানসহ তারা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে আসার পূর্বে তিনি মিয়ানমার ভ্রমণ করেন এবং এসব নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ব্যস্তুচ্যুত এসব মিয়ানমার নাগরিকরা যেন যথাযথ যাচাইকরণের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সে জন্য অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তার এ সফরের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
জিসিজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।