ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অ্যাম্বুলেন্সে করে ডাকাতি: মূলহোতাসহ আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
অ্যাম্বুলেন্সে করে ডাকাতি: মূলহোতাসহ আরও ৩ ডাকাত গ্রেফতার গ্রেফতাররা

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনেদুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূলহোতাসহ আরও তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরের রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদর দফতরে গ্রেফতারদের গণমাধ্যম কর্মীদের সামনের নিয়ে আসা হয়।

এ সময় প্রেস ব্রিফিং করে পুরো ঘটনা জানান- মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।

গ্রেফতাররা হলেন- চাঞ্চল্যকর এ ডাকাতির মূলহোতা রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান উত্তরপাড়ার মোকলেছুর রহমানের ছেলে নুর আলম নুরু (২৩), ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক পবা থানার বীর গোয়ালিয়া এলাকার মকবুল হুসাইনের ছেলে মুহাইমিনুল ইসলাম সবুজ (২৯) এবং রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি ব্রিজপাড়ার আব্দুর রশীদের ছেলে কামরুজ্জামান লিটন (২৬)।

পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এদের গ্রেফতার করেছে শাহ মখদুম থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে লুট হওয়া আরও ৫ লাখ ৮৫ হাজার ১২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মোট ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১ শ’ ৬৫ টাকা উদ্ধার করা হলো। ডাকাতির ঘটনায় পান ব্যবসায়ীদের মোট ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা লুট হয়েছিল।

পুলিশ কমিশনার বলেন, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর শাহ মখদুম জোনের ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নূরে আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাজশাহীর জেলার গোদাগাড়ী ও দুর্গাপুর থানা এবং মহানগরীর কর্ণহার থানা এলাকা থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, বাকি টাকা উদ্ধার ও তাদের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ।

এর আগে, রাজশাহী মহানগরীতে অ্যাম্বুলেন্সে করে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আগেও ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তাদের রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিন পান ব্যবসায়ী- রায়হান আহম্মেদ (২৬), শহিদুল ইসলাম (৩০) ও আমিনুল ইসলাম (২৭) ঢাকায় পান বিক্রি করে ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা নিয়ে শিরোইল বাস টার্মিনালে পৌঁছান। সেখান তারা একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দাওকান্দি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তারা লক্ষ্য করেন যে, তাদের সিএনজি অটোরিকশাকে একটি নীল রংয়ের অ্যাম্বুলেন্স অনুসরণ করছে। ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মহানগরীর শাহ মখদুম থানার পোস্টাল একাডেমির সামনে পৌঁছালে পেছন থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি হঠাৎ তাদের অটোরিকশার সামনে এসে গতিরোধ করে। সিএনজি থামার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্স হতে ৬-৭ জন ডাকাত বের হয়ে ধারালো চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, চাকু, ছোরা ও লোহার রড নিয়ে তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় রায়হান পালানোর চেষ্টা করে। ডাকাতরা তাকে মারধর করে তার কাছে থাকা ১৪ লাখ ২৭ হাজার টাকাসহ অন্যদের কাছে থাকা মোট ৩৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা লুট করে। পরে সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এসএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।