ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দালাল প্লাসের চেয়ারম্যান-সিইওসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
দালাল প্লাসের চেয়ারম্যান-সিইওসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস ডটকমের চেয়ারম্যান-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে ৮১ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে গ্রাহক মো. আল আমিন তামিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সিইও এস.এম রাব্বি আল মামুন, চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন মুরাদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজুক হক ওরফে সুমন, পরিচালক আবু জুবায়ের হোসেন রাব্বি, অ্যাকাউন্ট অফিসার হাসনাইন খুরশিদ অভি, প্রধান আইটি কর্মকর্তা নাজমুস শাহাদাত ও প্রধান অপারেশন কর্মকর্তা এস.এম বোরহান উদ্দিন রনি।  

মামলার আরজিতে বলা হয়, অনলাইন প্লাটফর্ম দালাল প্লাস ডটকমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হতো। গ্রাহকরা ঘরে বসে সকল পণ্য অর্ডার করে ক্রয়-বিক্রয় করতেন। এ মামলার ৮১ জন গ্রাহককে ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ বেশকিছু পণ্য বিক্রয়ে আকর্ষণীয় অফার দেয় দালাল প্লাস ডটকম। গ্রাহকরা অফার গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ে দুই কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পরিশোধ করেন।  

এরপর অনেক গ্রাহককে ওয়্যার হাউসে গিয়ে পণ্য গ্রহণ করার জন্য এসএমএস দেয়। সেখানে গেলে তাদের কাছ থেকে পণ্য না দিয়েই পণ্য পেয়েছে মর্মে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নেন তারা ।

আরজিতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার পর গ্রাহকদের হাতে পণ্য না দিয়ে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে বলেন অফিস থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

এভাবে প্রতারিত হয়ে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রাহকরা সবাই একত্রিত হয়ে দালাল প্লাসের অফিসে যান। তখন কয়েকজনকে চেক প্রদান করেন। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহক তাদের পণ্য না পেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় গুণ্ডা ও ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানার স্থানীয় লোকজন নিয়ে গ্রাহকদের পিটিয়ে হুমককি ধামকি দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন তারা।  

গ্রাহকরা প্রতারিত হয়ে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
কেআই/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।