ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা পাটশিল্পের বিরোধিতা করছেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
‘তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা পাটশিল্পের বিরোধিতা করছেন’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা, এলিট শ্রেণির মানুষেরা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলেন, পাটশিল্পেরও বিরোধিতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাকশিল্প শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জেড এম কামরুল আনাম।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৯৯৪ সালে নিহত ১৭ জন শ্রমিকের স্মরণে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

কামরুল আনাম বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে রমজান মাসে শ্রমিক হত্যা করা হয়। কিন্তু সেই পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করা হয়নি। বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল চালু করতে হলে সোচ্চার হতে হবে।

শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধ হলো কিন্তু মিলের কী অবস্থা, শ্রমিকদের কী অবস্থা সেটা দেখার কেউ নেই।

অটোমেশন পদ্ধতি এনে বন্ধ কারখানা চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন,  বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক বেকার। চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সময় শ্রমিকেরা রেশন পেতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এটা বন্ধ হয়ে যায়।

সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান,  মছিউদদৌল্লা, সিরাজুল ইসলাম,  মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরিষদের দাবিগুলো হলো—জাতীয়করণকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধকৃত পাট-সুতা ও বস্ত্রকল অটোমেশনসহ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা আধুনিকায়ন, পাট-সুতা ও বস্ত্রকলের চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে কর্মক্ষম শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে; সরকারি অধিগ্রহণকৃত, হস্তান্তরিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্রশিল্প শ্রমিকদের আইনসম্মত সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে; ব্যক্তি মালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্রশিল্প শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; অতীতের ন্যায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করতে হবে; শ্রমিক-কর্মচারিদের জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৯৯৪ সালে নিহত ১৭ জন শ্রমিকদের দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।