ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় পানিবন্দি ১৬৫ চরের ১০ সহস্রাধিক মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
গাইবান্ধায় পানিবন্দি ১৬৫ চরের ১০ সহস্রাধিক মানুষ

গাইবান্ধা: উজান থেকে নেমে আসা ঢল-ভারী বর্ষণে গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার নদীবেষ্টিত ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

তলিয়ে গেছে ফসলী জমি, বসতবাড়ী। রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার (২০ জুন) সকাল থেকে ঘাঘট নদী বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়ার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তবে ওগুলোতে এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পনি প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘাট নদে পানি বেড়েই চলেছে। এতে ক্রমেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষগুলো নিজেদের খড়কুটো, রান্নার সামগ্রী ও গবাদিপশু নিয়ে ছুটছেন উচু জায়গার খোঁজে। রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বাংলানিউজকে জানান, জেলায় শুধুমাত্র ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সবকটি নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুধুমাত্র চর এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে জেলার র্সাবিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর দু-একদিন পানি বৃদ্ধি পাবে। এরপর কমতে শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল পাশা জানান, যেভাবে প্রতিদিন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এলাকার মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বন্যায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দ্রুত স্থানীয় টিআর বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।