ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে গত রোববার (১২ জুন) দিনগত রাতে ওর ভাবির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। পরে ওর ভাবি রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায়। সেই সুযোগে বাড়ির পাশের ফারুক মোল্লার ছেলে আব্বাস মোল্লা (২৫) ঘরের ভেতরে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘরের ভেতরে ঢুকে ওই ছেলেকে আটক করে। পরে ছেলের লোকজন ও মাতব্বররা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা আমার মেয়েরে সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ছেলেকে নিয়ে যায়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, ঘটনার ৪ দিন পর মাতব্বররা এসে বলে আমরা মীমাংসা করতে পারিনি। আপনারা যা ইচ্ছা তাই করেন। সে কারণে আমার মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি এই ঘৃণিত নরপশুর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আব্বাসের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এটাকে ষড়যন্ত্র দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সালথার মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনাটি এখনো কেউ আমাকে বলেনি। তাছাড়া মাঝারদিয়া অনেক বড় ইউনিয়ন, তাই এখনো আমি জানতে পারিনি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
নিউজ ডেস্ক