ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নৌ-পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রতিমন্ত্রী খালিদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
নৌ-পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রতিমন্ত্রী খালিদ

চাঁদপুর: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌ-পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় নৌ পথের উন্নয়নে দৃষ্টি রাখেন।

তার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আমরা কাজগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ২০০৮ সালের আগে দেশে ড্রেজার ছিল ৮টি। গত ১৩ বছরে ৪৮টি ড্রেজার আমরা সংগ্রহ করেছি। আরও সংগ্রহ করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলে দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার কিলোমিটার খনন হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি খনন হবে।

তিনি বলেন, আমরা নৌ-বন্দরগুলো আধুনিক করতে কাজ করে যাচ্ছি। চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও ভোলায় বন্দর উন্নয়ন কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ বেশ কিছু বন্দরের কাজ আপডেট করেছি। আপনারা এখন চাঁদপুর থেকে সদরঘাট গিয়ে নামলে আগের চাইতে অনেক সুন্দর পরিবেশ পাচ্ছেন। আগে বলা হতো উপরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট। এখন তার বিপরীত- সদরঘাট হচ্ছে ফিটফাট।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নানা কারণে চাঁদপুর নৌ-বন্দর অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকে অনুষ্ঠানে যারা বক্তব্য দিয়েছেন তারা অনেকেই চাঁদপুরের আগের এবং বর্তমান নৌ-বন্দরের ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। এখানে রেলপথ, সড়কপথসহ সার্বিক সুবিধা আছে। আপনাদের দাবী এখন একটি আধুনিক নৌ-বন্দর করার। ইতোমধ্যে এ কাজ অনেক এগিয়েছে। আমরা চাঁদপুরে একটি আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর নির্মাণ করব।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে একই স্থানে ড্রেজিং করা হয়েছে। তা আর করতে দেওয়া হবে না। এখানকার স্থানীয় প্রশাসন অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করা বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে নিয়ম মেনে ড্রেজিং করা হবে। অনিয়ম করে কেউ ড্রেজিং করতে পারবে না, সে যে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের হোক না কেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। আরও বক্তব্য দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নৌ-যান মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নৌ-যান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে সুবর্ণতরী নামে একটি সুভ্যেনিয়র উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্যরা।

গত ১৯ মে হতে সপ্তাহব্যাপী নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধন হয় ঢাকা সদরঘাটে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া নৌ-র‌্যালি, দেশের বিভিন্ন নৌ-বন্দরে ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে জগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ-নিরাপত্তায় রাখবে অবদান। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।