ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে জাজিরায় হচ্ছে আরেকটি ফেরিঘাট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে জাজিরায় হচ্ছে আরেকটি ফেরিঘাট

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথের জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে নতুন ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই নতুন ফেরিঘাট নির্মাণকাজ শুরু হয়।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতেই এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৫ আগস্ট নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় পদ্মা সেতুর সঙ্গে কয়েকবার ফেরির ধাক্কা লাগে। সে কারণে ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক জেলার মানুষকে। পরে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাট এলাকায় নতুন করে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নাব্যতা সংকট ও রাস্তার কারণে ফেরি চলাচল শুরু করতে পারেনি। তবে ৭ ডিসেম্বর পুনরায় নাব্যতা সংকটের সমাধান করে শিমুলিয়া থেকে জাজিরা নৌপথে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করতে থাকে। রাত ও দিনে ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আরও অধিক সেবা নিশ্চিত করতে নতুন ফেরিঘাট নির্মাণ ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

ফেরি পারাপার হওয়া যাত্রী আব্বাস বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াতের আর সমস্যা থাকবে না। তবে এর আগে সেবা নিশ্চিত করতে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঘাট নির্মাণ করলে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কম হবে বলে আমার বিশ্বাস।

যাত্রী মোশাররফ, দানেশ, শিবু মিত্র বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগার কারণে গত বছর ওই রুটে বেশিরভাগ ফেরি বন্ধ হওয়ায় আমরা ভোগান্তিতে পড়ি। এখন এই রুটে আমরা চলাচল করি। আরও একটা ফেরিঘাট হলে চাপটা একটু কমবে।

বিআইডব্লিউটিসির জাজিরা সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটের দায়িত্বে থাকা সহকারী ব্যবস্থাপক সামছুল আবেদীন বলেন, প্রতিদিন হাজারও যানবাহন এই রুটে পারাপার হয়। তবে এখন এই ঘাটে চারটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। আরেকটি ঘাট চালু হলে এ সমস্যা সমাধান হবে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারিস আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নতুন আরেক ঘাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লঞ্চ বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা যাতে ফেরিতে পদ্মা পার হতে পারেন, তাই ঘাটের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ঈদের সময় একযোগে শিমুলিয়া-মাঝির ঘাট এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার দুই রুটেই দিনরাত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।