ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পথ ভুলে হারানোর ২২ বছর পর স্বজনদের ফিরে পেলেন আছিয়া 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
পথ ভুলে হারানোর ২২ বছর পর স্বজনদের ফিরে পেলেন আছিয়া 

নোয়াখালী: আছিয়া খাতুন, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। পথ ভুলে হারিয়ে যায়, নিখোঁজ হয় ২২ বছর আগে।

ঠিকানা বলতে না পারায় ফিরতে পারে না আপনজনের কাছে। সেই আছিয়া আজ ৩৬ বছরের নারী।

নোয়াখালী সদর উপজেলার সেই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ২২ বছর পর র‌্যাবের সহায়তায় ফিরে পেয়েছেন আপনজন।

সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই নারীকে তার ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।

আছিয়া নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের মৃত মো. ওমর আলীর মেয়ে।

এর আগে, একই দিন রাত ১১টার দিকে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল নোয়াখালীর সুধারাম থানার সোনাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ নারীকে উদ্ধার করে।

সোমবার দিনগত রাতে র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আছিয়া খাতুন ২২ বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে ফুফুর বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। ভিকটিমের পরিবার আশেপাশের বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পারে যে, মেয়েটি মারা গেছে অথবা পাচারকারীরা তাকে পাচার করেছে।  

গত শনিবার (২ এপ্রিল) ভিকটিমের ভাই মো. শহীদ উল্লাহ সুধারাম মডেল থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ভিকটিমের ভাই রোববার (৪ এপ্রিল) জিডির কপিসহ র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভিযোগের আলোকে র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালীতে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে সুধারাম থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।  

ভিকটিমের ভাষ্য মতে জানা যায়, তিনি তার ঠিকানা বলতে না পারায় বাড়িতে ফিরে আসতে পারেননি। ঘটনাক্রমে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে এতোদিন রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ছিলেন।  

আছিয়া ও তার বড় ভাই শহীদ উল্লাহকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুধারাম মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে একটি সূত্র বলছে, পরিচিত কেউ মেয়েটির ভাইকে জানান যে তার বোনের মতো চেহারার কাউকে দেখেছেন। এরপর খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন শহীদ উল্লাহ। তিনি লোক মারফত বোনের ব্যাপারে কিছুটা খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
এসআই


  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।