ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সারাদেশে ২০০ সাইলো হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
সারাদেশে ২০০ সাইলো হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী 

নওগাঁ: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকের জন্য পণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ও কৃষকের সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে ২০০টি সাইলো (ধান সংরক্ষণাগার) নির্মাণ করা হচ্ছে। যার একেকটির ধারণ ক্ষমতা পাঁচ হাজার মেট্রিকটন।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৩০টি সাইলোর অনুমোদন দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৪ মার্চ) ১১টায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চার হাজার পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সাইলো (মটকা) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, প্যাডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে এলেও তা রাখার সুযোগ থাকছে। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষকের ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষ যারা দিনে মাঠে কাজ করে বাড়িতে থাকতে পারেন না, তাদের খাদ্যশস্য সংরক্ষণে বাড়ি বাড়ি সাইলো বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পারিবারিক সাইলো টেকসই ও খাদ্য সংরক্ষণে নিরাপদ নিশ্চয়তার প্রতীক। টানা দুই বছর পানি, ধান কিংবা চাল যে কোনো খাবারকে শুষ্ক ও সতেজ রাখতে সহায়ক এসব সাইলো। আর ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য এসব সাইলো বিশেষ আশীর্বাদ স্বরূপ। একটা পরিবার এ হাউজহোল্ড সাইলোতে রাখতে পারবেন ৪০ কেজি ধান, ৫৬ কেজি চাল এবং ৭০ লিটার পানি। মাটিতে পুঁতে রেখে খাদ্য সংরক্ষণ করতে পারবেন উপকারভোগীরা। হঠাৎ বন্যা, প্রকৃতিক দুর্যোগ এবং আকর্ষিক বন্যায় সব কিছুই ভাসিয়ে একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেওয়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিয়মে পরিণত হয়েছে। তবে আপদকালীন দুর্যোগের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে এ সাইলোগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

করোনার কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। আমাদের যেসব জিনিস আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়, সেসব জিনিসপত্রকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রানীনগরের ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহন্তর সভাপতিত্বে  এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য (রানীনগর-আত্রাই আসন) আনোয়ার হোসেন হেলাল, রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, রানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলুসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।