ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বর্জ্য পরিশোধনাগারের দাবি পূরণ হচ্ছে মাগুরাবাসীর

জয়ন্ত জোয়ার্দ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
বর্জ্য পরিশোধনাগারের দাবি পূরণ হচ্ছে মাগুরাবাসীর

মাগুরা: প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মাগুরা পৌরসভার শিমুলিয়া এলাকায় ৪ একর জায়গায় ওপর তৈরি হয়েছে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার। এই পরিশোধনাগারে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা, মল পরিশোধন করে বায়োগ্যাস ও প্রাকৃতিক জৈব সার তৈরি হবে।

এতে দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে পরিবেশ। মাগুরাবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া এই পরিশোধানাগারটি চলতি মাসেই উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ময়লা ফেলা পুকুর, ফিল্টারিং পুকুর, বায়োগ্যাস চেম্বার, জৈব পরিশোধানাগারসহ বেশ কয়েকটি পুকুর তৈরি হয়েছে। পুকুরগুলোর মধ্যে দিয়ে বড় বড় ড্রেন করা হয়েছে যা পাথরের মধ্যে দিয়ে তরল পদার্থ পাইপের মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে বায়োগ্যাস চেম্বারে এসে জমা হবে। পরিশোধানাগারের চারপাশে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিদন্দন ফুলের বাগান, নানা জাতের ফলজ, বনজ বৃক্ষ। স্থানটিতে রয়েছে দুইটি হাউজ। একটিতে ওয়াটার পাম্প চেম্বার, অন্যটি পাওয়ার পাম্প চেম্বার।

শিমুলিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা কেসমত শেখ বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা-যশোর মহাসড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বাসা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। যা ওই এলাকার মানুষের কাছে অস্বস্তির একটা বড় কারণ ছিল। ময়লা পরিশোধনাগার তৈরি ফলে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ এখন দুর্গন্ধমুক্ত বাতাসে চলাফেরা করতে পারবে অন্যদিকে প্রাণভরে বিশুদ্ধ নির্মল অক্সিজেন নিতে পারবে।

পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার প্রকল্পের সুপার ভাইজার লিমন হোসেন বলেন, এখানে পৌরবাসীর জন্য পশু জবাইয়ের স্থান, বায়োগ্যাস চেম্বার, মানব বর্জ্য ফিল্টারের মাধ্যমে লিকুড ফিল্টারে আনা হবে। তাছাড়া ভিভোজার ফিল্টারের মাধ্যেমে ময়লাকে তরল পানিতে পরিণত করা হবে। বর্জ্য সারকে প্যাকেটিংয়ের মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মাগুরা পৌরসভার ময়লা পরিশোধনাগার ইউজি-থ্রি প্রকল্পের আওতায় এই কাজ সমাপ্ত হচ্ছে। এজন্য ইউজি-থ্রিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পৌরকর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন একটি খোলা জায়গায় ময়লা ডাম্পিং করতাম। মাগুরা পৌরসভার দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল ময়লা পরিশোধনাগারের। কিছুদিনের মধ্যে সেই চাহিদা পূরণ হতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি এই পরিশোধানাগারের উদ্বোধন করবেন। আমরা মনে করছি মাগুরা নয়টি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত উন্নয়ন করা হয়েছে। মাগুরায় কোনো ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। পৌরকর্তৃপক্ষ করার ফলে মাগুরা নগরবাসীর দাবি পূরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। কারণ আগে দেশে যখন জনসংখ্যা কম ছিল দেশে পর্যাপ্ত জমি ছিল ওই সময় মানুষ সুইপারদের মাধ্যমে ময়লা মাটি চাপা দিতো। কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এবং অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর তৈরির কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে ময়লাটা আর সেখানে সেখানে ফেলার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে নির্দিষ্ট একটি স্থানে জনগণের যাতে স্বাস্থ্যহানি না হয় সে কারণে ইউজিথ্রি প্রকল্পে আওতায় মাগুরা পৌরসভায় আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার তৈরি করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।