ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রেলের গেটকিপারদের অনশনের ১৩ দিন, অসুস্থ ১৫০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
রেলের গেটকিপারদের অনশনের ১৩ দিন, অসুস্থ ১৫০

ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের মান-উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ১৮৮৯ জন গেটকিপার চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন।

শুক্রবার (১১ মার্চ) কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুপুরের তপ্ত রোদে খোলা আকাশের নিচে টানা ১৩তম দিন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রেলপোষ্য এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৮৮৯ জন গেটকিপার রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের উদ্যোগে আন্দোলন চলছে।

   

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের আমরণ অনশন হয়। দীর্ঘ সময় অনশনের ফলে ইতিমধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং প্রায় দেড় শতাধিক গেটকিপার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।  
গেটকিপাররা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।  

শনিবারের (১২ মার্চ) মধ্যে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশ বাস্তবায়ন না করলে রোববার (১৩ মার্চ) রেল ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন গেটকিপাররা।   

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রেলপোষ্য গেটকিপারদের পিতারা। অনশনের কারণে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

গেটকিপাররা বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের কর্মরত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ী করণে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দৃশমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি, আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের কোনেো কথার গুরুত্ব দেননি।  

তারা আরও বলেন, নিয়োগের সময় আমাদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা। গত ৫ বছরে এ বেতন বাড়েনি। বেশির ভাগ গেটকিপার তাদের নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বাসা ভাড়া, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয়সহ জীবনযাপন করতে হিমশিম খেতে হয়। প্রায় সকলের বয়স ৩২ বছর অতিক্রম করায় অন্য চাকরিতেও ঢোকার সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
আরকেআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।