ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম মানুষের মনে হাহাকার। লাগামহীন ভোজ্যতেলের পাশাপাশি মাছ, মাংস, সবজি, পেঁয়াজ সব কিছুরই দাম চড়া।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সঙ্গে কথা বলে এইসব বক্তব্য পাওয়া যায়।
গৃহবধূ কুলসুম জানান, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর সিপাহীবাগ নবিনবাগ এলাকায় থাকেন। স্বামীর মাসিক আয় ১৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে ছাপড়া ঘর ভাড়া দিতে হয় আট হাজার টাকা। বাকি টাকায় চাল-ডাল কিনবো নাকি সবজি কিনবো। মাছ-গোস্ত এখন স্বপ্নেও দেখি না।
নজরুল ইসলাম পেশায় টেইলার মাস্টার। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বংশাল কায়েৎটুলী এলাকায় এক রুম ভাড়া করে থাকেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবত বাজারে যাই না। একটু কম দামের আশায় রাস্তার ভ্যান থেকে সবজি কিনতাম। কিন্তু সেখানেও এখন চড়া দাম, কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। মাসিক ইনকাম আগের তুলনায় এখন কম। পরিবার নিয়ে ঢাকা শহরে আর থাকা যাবে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই এক মাসের মধ্যেই পরিবারকে নিয়ে গ্রামে শরীয়তপুর এলাকায় চলে যাবো।
তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, আপনারাই বলেন কোন জিনিসের দাম বাড়ে নাই? দাম বাড়ার একটা লিমিট থাকে। এই দেশে কোনো লিমিট নাই। প্রতিদিন হু হু করে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এসব দেখার জন্য কি কেউ নাই?
কর্মজীবী নারী সিমা আক্তার বলেন, আজ সবজি দিয়ে ভাত খেলে আগামীকালের কথা চিন্তা করতে হয়। কোথায় পাব আগামীকালের বাজারের টাকা। প্রতিদিনই বাড়ছে সব জিনিসপত্রের দাম। যা ইনকাম করি সেটা দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিনও চলা যায় না এই বর্তমান সময়ে।
অনেকেই মন্তব্য করেন খোলা ভোজ্য তেল আড়াইশো গ্রাম এখন ৫০ টাকা, মসুর ডাল আড়াইশো গ্রাম ৩০ টাকা। অনেক দোকানদার আবার আড়াইশো গ্রাম কোনো কিছুই বিক্রি করতে চায় না। তাহলে আমরা ৮০০ টাকা দিয়ে পাঁচ লিটার তেল কিনে কি খেতে পারবো?
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এজেডএস/এসআইএস