ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে যোগ্য জনবল গড়ে তোলার তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে যোগ্য জনবল গড়ে তোলার তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নের দর্শন বাস্তবায়নে যোগ্য ব্যবস্থাপক ও জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।  

তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে যোগ্য স্থানে যোগ্য লোককে দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেশ কিছু শিল্প কারখানার মালিক হলেও ব্যবস্থাপনার দক্ষতার অভাবে এগুলো লাভ জনক করা যায়নি। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শিল্প কারখানার উন্নয়নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস গঠন করেছিলেন।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) আয়োজিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষ ব্যবস্থাপনা: ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দর্শন’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। বিআইএম’র মহাপরিচালক তাহমিনা আখতার সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।  

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল কাজে লাগাতে দেশের বিশাল জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যুবগোষ্ঠীকে কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই কাঙ্ক্ষিত আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

বঙ্গবন্ধুকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজে তাঁর জীবনী লিখে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর গবেষণা করে নতুন প্রজন্মকে যোগ্য শিল্প ব্যবস্থাপক ও ভিশনারি নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শ্রমিক জনতার স্বার্থে পরিত্যক্ত শিল্প কারখানাগুলোকে জাতীয়করণ করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপকদের দক্ষতার অভাবে কারখানাগুলো অলাভজনকে পরিণত হয়।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প কারখানাগুলোকে লাভ জনক করতে কারখানার শীর্ষ পদে দক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রচণ্ড সম্মোহনী শক্তিতে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একটি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছিল। তাঁর সফল নেতৃত্বের কারণেই মাত্র নয় মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।  

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একাধারে সুদক্ষ রাজনীতিবিদ, আদর্শ নেতা ও সফল ব্যবস্থাপক। স্বাধীনতার আগে ও পরে তাঁর পরিকল্পনা ও সেগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি ছিল অসাধারণ। একতরফাভাবে ৭ মার্চের বক্তৃতায় স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বাংলাদেশ কখনও স্বাধীন হতো না। স্বাধীনতা যুদ্ধের রণনীতি, রণকৌশল কি হবে সেটি স্পষ্টভাবে দিয়েছেন। ছয় দফায় শিল্প ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা  দিয়েছিলেন।  

এর আগে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ বিআইএম’র ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’র উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইএমর মহাপরিচালক তাহমিনা আখতারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিআইএম’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।