বুধবার (১৮ জুলাই) তাকে হবিগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাতে মনিলার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার সুরমা চা বাগানের মাহঝিল ডিভিশনের সুরেশ সাঁওতালের মেয়ে ও মাধবপুর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মনিলা মারতী মনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের কুদনা সাঁওতালের ছেলে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র অনিল সাঁওতালের। একপর্যায়ে মনিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের দাবি জানায়। এরপর শুক্রবার (১৩ জুলাই) নিখোঁজ হয় মনিলা।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাতে এলাকার একটি নির্জন স্থানে মনিলার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মনিলাকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার উদ্দেশেই অনিল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।
এএসপি নাজিম উদ্দিন আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে অনিল জানিয়েছে, মনিলাকে সে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
আরএ