ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

পরিবহন সংকটে রাজধানীবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৪, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
পরিবহন সংকটে রাজধানীবাসী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর ও দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ থাকায় রাজধানীতে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট। দুর্ভোগে রয়েছেন রাজধানীবাসী।

   
 
ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে দলে দলে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। রাজধানীর বেশির ভাগ গণপরিবহন মুসল্লিরা ঢাকার বাইরে রির্জাভে নিয়ে যাওয়া ও দলীয় সমাবেশে বাস দিয়ে যোগ দেওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ দুর্ভোগ।  
 
সরেজিমনে দেখা যায়, রাস্তায় গণপরিবহনের চলাচল থাকলেও আব্দুল্লাহপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত প্রতিটি স্ট্যান্ডে দেখা যায় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। হাত তোলে বাস থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন যাত্রীরা। এদিকে দুই একটা থামলেও প্রচণ্ড ভিড় থাকায় উঠতে পারছেন না।
 
অপেক্ষমাণ যাত্রীরা জানান, অনেক সময় বাসের হেলপার হাত নেড়ে ইশারায় জানান দিচ্ছেন ‘সিট খালি নেই বাসে ওঠা যাবে না। আবার কেউ বলছেন ‘রিজার্ভ রিজার্ভ’।
 
এদিকে পরিবহন সংকটের কারণে সিনএনজি চালিত অটোরিকশার বেড়ে গেছে ডিমান্ড। মিটারে যেতে চাচ্ছেন না তারা। কন্ট্রাকে অথবা অতিক্তি ভাড়া হাকিয়ে বসছেন তারা। এতে করে দুর্ভোগ যেনো আরো বেড়ে গেছে যাত্রীদের।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত সব কয়টি বাস স্ট্যান্ডে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়।

আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে আল-আমিন নামে অপেক্ষমাণ একজন যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, ভাই কোনো বাস তো খালি নেই। যাও আসে তাতে ওঠার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরাও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারাও গলাকাটার সুযোগ পেয়েছে।  
 
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আমিনুল বলেন, ভাই যাত্রীতো অনেক। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া কই চাইলাম। মিটারে যা আসে তার থেকে ৩০/৪০ টাকা বেশি চাইলাম।
 
এদিকে রাজধানীর খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড়। তারা সবাই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর দু’একটি বাস আসে আর তারা দৌড়ে কাছে গেলেও বাসে উঠতে পারছে না। রাগে ক্ষোভে অনেকটা ফেটে পরছেন যাত্রীরা।
 
‘কি করবো, সব বাসই যদি রিজার্ভ হয় তবে আমরা উঠবো কোনটায়। ২ ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে পারছি না। আর লোকাল বাসগুলোতে কোনো জায়গা নেই। আমরা যাত্রীরাই সব সময় ভুক্তভোগী হচ্ছি।
 
গাজীপুর পরিবহনের হেলপার মনির বাংলানিউজকে জানান, ‘ভাই এই বাসে সব ইজতেমা ময়দানের যাত্রী। এক গ্রুপ উঠছে বাসে শুধু মানুষ আর ব্যাগ। জায়গা নেই। এখন কিভাবে যাত্রী কই নিমু। ’
 
তিনি আরো জানান, বেশির ভাগ বাস টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর থেকে যাত্রী তুলে আসছে বলে বাকি কাউন্টারগুলো থেকে যাত্রী তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ইজতেমার কারণে একটু তো সবাইকে কষ্ট করতেই হয়।
 
বাংলাদেশে সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬/আপডেট ১৭০৯ ঘণ্টা
এসজেএ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।