ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩২, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে যা বললেন বিক্রম মিশ্রি

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৯, অক্টোবর ৬, ২০২৫
বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে যা বললেন বিক্রম মিশ্রি নয়দিল্লিতে ডিকাব প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন রতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

নয়াদিল্লি থেকে: বাংলাদেশে আগের চেয়ে ভারতীয় ভিসা ইস্যু বেড়েছে। আগামীতে এই হার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-ডিকাব’ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশে আমাদের একটি খুব বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে। এটি গত বছরের জুলাই এবং আগস্টের ঘটনার আগে যে স্তরে ছিল, এখন সেই স্তরে নেই। কিন্তু আজও বাংলাদেশে যে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা রয়েছে, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমাদের বৃহত্তম ভিসা কার্যক্রমগুলির মধ্যে একটি।

তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনের দিকে তাকানো, পেছনে তাকানো নয়। কিন্তু এটা সত্য যে, ৫ আগস্টের ঘটনা ঘিরে তখন সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি  প্রভাবিত হয়েছিল। এর ফলে ভিসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় লোকসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। এখন আমাদের ভিসা কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। আগামী দিনেও এই কার্যক্রম বাড়বে।

গঙ্গার পানি চুক্তি এবং তিস্তা প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ দুটি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যৌথ কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার কিলোমিটারের মতো সীমান্ত রয়েছে। নিরাপত্তা, মাদক চোরাচালান, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভারতীয় সীমানায় এমন ঘটনা ঘটে। তবে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী নিজের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।

বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ বেড়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রম মিশ্রি বলেন,  পুশ ইন প্রক্রিয়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়।

মতবিনিময়কালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল, যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) বি. শ্যাম, ডিকাব সভাপতি একেএম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ডিকাব-এর ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ভারত সফর করছে।

টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।