ঢাকা, রবিবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানে জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৪, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫
সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানে জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেইজ এবং তার সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পৃথিবীর সর্বাধিক জনবহুল ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্পগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার, বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে সৌর শক্তির ব্যবহার।

কার্ল পেইজ নব-প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমে সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব অগ্রগতি নির্ভরযোগ্য ও শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

কার্ল পেইজ বলেন, ভাসমান (বার্জ-মাউন্টেড) পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতকে কয়েক দশক ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তি এখন আর বিশ্বব্যাংকের মতো প্রধান উন্নয়ন অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ তাদের বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এসব প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।

কার্ল পেইজ বলেন, বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির একটি কৌশলগত কেন্দ্র এবং শান্তিপূর্ণ পরমাণু উদ্ভাবনের নেতা হিসেবে কাজ করতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য সৌরশক্তি ব্যবহারের গতি ত্বরান্বিত করা।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রয়োজন। আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এসব প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে কমাতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ।

এমইউএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।